তিমির বনিক,মৌলভীবাজার প্রতিনিধি: মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে বায়েজিদ মিয়া (২০) নামের এক কলেজ ছাত্রের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ রবিবার সকালে কমলগঞ্জ উপজেলার কালেঙ্গা গ্রামের নিজ বসতঘর থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পরিবারের সদস্যরা বলছেন, বায়েজিদ নিজের শয়নকক্ষে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে গামছা ও তোয়ালে পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। তবে আত্মহত্যার এ ঘটনাটি রহস্যজনক মনে করছে স্থানীয়রা।
নিহত বায়েজিদ ওই গ্রামের মৃত খায়রুল ইসলাম চৌধুরীর একমাত্র ছেলে। তিনি মৌলভীবাজারের সৈয়দ শাহ্ মোস্তফা কলেজের শিক্ষার্থী বলে জানা গেছে।
পরিবারের সদস্যদের বরাত দিয়ে জানা গেছে, শনিবার রাতে খাবার খেয়ে নিজের কক্ষে ঘুমাতে যান বায়েজিদ। আজ ভোরে পরিবারের লোকজনের অজান্তেই তিনি নিজের কক্ষের সিলিং ফ্যানের সঙ্গে গামছা ও তোয়ালে পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেন। পরে বিষয়টি পুলিশকে জানালে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য মৌলভীবাজার মর্গে পাঠায়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, ফ্যানের সঙ্গে ঝুলে থাকলেও পা মাটিতে ছিল। পরনের লুঙ্গি ছিল স্বাভাবিক। মুখ ও হাত দেখে ঘটনাটি তাদের কাছে রহস্যজনক মনে হয়েছে।
কমলগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আব্দুর রাজ্জাক বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ মৌলভীবাজার মর্গে পাঠানো হয়েছে। কথা বলার এক সময় এক প্রশ্নের জবাবে ওই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, এই মুহূর্তে বলা যাচ্ছে না এটি হত্যা নাকি আত্মহত্যা। তবে ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পাওয়ার পর ঘটনার আসল কারণ জানা যাবে।