বাগেরহাট প্রতিনিধিঃ বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ মিথ্যা অভিযোগ ও অপপ্রচারের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছেন উপজেলার প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত সেতারা আব্বাস টেকনিক্যাল অ্যান্ড বিজনেস ম্যানেজমেন্ট কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ জেসমিন আক্তার। বৃহস্পতিবার ( ৪ মে) দুপুরে মোরেলগঞ্জ উপজেলা প্রেসক্লাব কার্যালয়ে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
এসএসসি ( ভোকেশনাল) পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে ফরম ফিলাফে অতিরিক্ত অর্থ ও প্রবেশপত্র বিতরণে অর্থ গ্রহণের ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও অত্র প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি এসএম তারেক সুলতানের বরাবর গত ২৯ এপ্রিল ও ৩ মে কিছু কুচক্রীর ইন্ধনে কতিপয় সহজ-সরল শিক্ষার্থী অভিযোগ দায়ের করে। যা সম্পূর্ণ মিথ্যা, কাল্পনিক ও বানোয়াট বৈ আর কিছুই নয় বলে দাবি করেন ওই অধ্যক্ষ।
লিখিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, ২০২৩ সালে অত্র প্রতিষ্ঠানে এসএসসি ( ভোকেশনাল) শিক্ষাক্রমে মোট ৫৮ জন শিক্ষার্থী ফরম ফিলাপ করে। বোর্ডের নির্ধারিত ফি ১,১৫৫ টাকা, বার্ষিক বেতন ১০০ টাকা হারে ১২০০ টাকা ও নবায়ন ও সেসন চার্জ ৫২৫ টাকা সর্বমোট ২,৮৮০ টাকা ধার্য করে শিক্ষার্থীদের নোটিশ দেওয়া হয়। পরবর্তীতে তাদের দাবির প্রেক্ষিতে ৫০০ টাকা মওকুফ করে সবাই ১,৫০৫ টাকা হারে আদায় করে অত্র প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক হিসাবে ( সোনালী ব্যাংক, মোরেলগঞ্জ শাখা) জমা করা হয়েছে। এসকল পরীক্ষার্থীর পরীক্ষা কেন্দ্র এসিলাহা পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় হওয়ায় ৫৬ জন নিয়মিত শিক্ষার্থীর বিপরীতে ৮২৫ টাকা হারে ৪৬,২০০ টাকা এবং ৬৫০ টাকা হারে অনিয়মিত ২ জনের বিপরীতে ১,৩০০ টাকা সর্বমোট ৪৭,৫০০ টাকা কেন্দ্র ফি বাবদ কেন্দ্র সচিবকে প্রদান করতে হবে। সে কারণে বোর্ডের নির্ধারিত কেন্দ্র ফি ৮২৫ টাকা ধার্য করা হয়। পূর্বসিদ্ধান্ত অনুযায়ী তাই প্রবেশপত্র গ্রহণের সময় তাদের কাছ থেকে এ কেন্দ্র ফি আদায় করা হয়। অধিকাংশ শিক্ষার্থী প্রবেশপত্র গ্রহণ করলেও কিছু সংখ্যক ষড়যন্ত্রকারী প্রতিষ্ঠান বিরোধী লোকের কু-পরামর্শে কতিপয় শিক্ষার্থী উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে অহেতুক অভিযোগ দাখিল করে। প্রকৃতপক্ষে নির্ধারিত ফি ছাড়া কোনরুপ অর্থ আদায় করা হয়নি বলে অধ্যক্ষ জেসমিন আক্তার দাবি করেন। উপরন্তু উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নির্দেশক্রমে ১৭ জন পরীক্ষার্থীর কেন্দ্র ফি আদায় ছাড়াই তাদের মাঝে প্রবেশপত্র বিতরণ করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরও উল্লেখ করেন, গত ২ মে এসএসসি (ভোকেশনাল) শাখার কতিপয় শিক্ষক কিছু শিক্ষার্থীর দুঃখ প্রকাশের কথা জানাতে আমার কক্ষে আসলে তিনি এধরণের মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন অভিযোগের জন্য ষড়যন্ত্রকারীদের খুঁজে বের করা প্রসঙ্গে কথা বলেন। পাশাপাশি কোমলমতি শিক্ষার্থীদের বিভ্রান্ত না হওয়ার ব্যাপারে সম্মানিত শিক্ষকদের দৃষ্টি রাখতে পরামর্শ দেন বলে জানান। তিনি তার বক্তব্যকে বিকৃত করে ওইদিন পুনরায় উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে অভিযোগ করে। তিনি এসব মিথ্যা , বানোয়াট অভিযোগের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ করেন।
উল্লেখ্য, অভিযোগকারী পরীক্ষার্থীদের মধ্য ৬ জন তাদের অভিযোগ তুলে নিতে ইতোমধ্যে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে আবেদন করেছে বলেও তিনি এ সংবাদ সম্মেলনে উল্লেখ করেন। উদ্দেশ্যমূলকভাবে কিছু পদলোভী ও অর্থলোভী ব্যক্তির প্ররোচনায় অত্র প্রতিষ্ঠান ও তার সুনাম নষ্ট করতে এহেন কর্মকান্ড করা হয়েছে বলে তিনি অভিমত ব্যক্ত করেন।
সংবাদ সম্মেলনের সময় ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ জেসমিন আক্তারের সাথে বেশ কিছু শিক্ষক ও কর্মচারী সেখানে উপস্থিত ছিলেন।