এনায়েত করিম রাজিব, বাগেরহাট প্রতিনিধিঃ
প্রাকৃতিক খরতাপে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে মোরেলগঞ্জের জনজীবন। বৈশাখের প্রায় তৃতীয় সপ্তাহ। মোরেলগঞ্জের কোথাও একফোটা বৃস্টি নেই।ফলে খরতাপ পুঞ্জীভূত হয়ে সৃস্টি করেছে তাপ প্রবাহ।আর সেই তাপে পুরছে পুরো মোরেলগঞ্জ জুড়ে।বিশেষ করে দিন মজুর ও খেটে খাওয়া শ্রমিকেরা পড়েছে বেশী বেকায়দায়। আবহাওয়া দপ্তর বলছে মৃদু থেকে মাঝারি মাত্রার তাপ প্রবাহ চলছে।
আরও তিন চারদিন এই ধারা চলতে পারে তারপর বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।গত কয়েকদিনের প্রচন্ড দাবদাহে মোরেলগঞ্জের জনজীবন বিপর্যস্ত ও দুর্বিসহ হয়ে উঠেছে।তীর্ব গরমে পুড়ছে জনপদ, মাঠঘাট পুড়ছে বিভিন্ন এলাকার মৎস্য ঘেরের মাছের পোনা,ও পশুপাখি। কোথাও স্বস্তির বাতাস নেই।সর্বত্র গরম আর গরম।কখনও প্রচন্ত আবার কখনও ভ্যাবসা গরম। প্রচন্ড এই তাপদাহে থেকে নেই শ্রমজীবী মানুষদের জীবন সংগ্রাম। ১৬ টি ইউনিয়ন ও ১ পৌরসভা নিয়ে গঠিত এই বিশাল জনপদের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখাদেছে বিভিন্ন প্রজাতির গাছপালা শুকিয়ে মরে যাচ্ছে।তবুও আটকাতে পারেনি শ্রমজীবী মানুষদেরকে। ভোর হতে আবার ছুটে চলেন রোজগারের সন্ধানে।গরম ও রোড উপেক্ষা করে যাত্রী পরিবহন করছেন ভ্যান-রিক্সা চালকেরা। তৃষ্ণা মেটাতে রাস্তার পাশে ফুটপাতের সরবতই তাদের ভরসা।কেউবা আবার একটু প্রশান্তির আশায় বিশ্রাম নিচ্ছে গাছের নিচে।রোদ গরমের কারনে যেখানে- সেখানে পানি পান করে অনেকে অসুস্থ হয়ে পড়ছে।ছড়িয়ে পড়ছে ডায়রিয়া। হাসপাতাল ও ক্লিনিক গুলোতে ডায়রিয়া রোগীর লাইন দীর্ঘ হচ্ছে।
চিকিৎসকেরা এ সময়টাতে পরিমিত খাবারের পাশাপাশি খোলা জায়গার খাবার খেতে বারন করছেন।তবে প্রচুর পরিমানে বিশুদ্ধ পানি পান করার পরামর্শ ও দেন তারা।এ ব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ শর্মী রায় বলেন প্রচন্ড গরমের কারনে মানবদেহে পানি স্বল্পতাসহ হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি রয়েছে।সুতরাং খুব বেশী প্রয়োজন ছাড়া শিশু,বৃদ্ধ ও রোজাদারদের খুব বেশী ঘরের বাইরে বের না হওয়াই ভাল।