এনায়েত করিম রাজিব, বাগেরহাট প্রতিনিধি: বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে পোলেরহাট বাজারে এক ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে ১৩টি দোকান সম্পূর্ন পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। আংশিক ক্ষতিগ্রস্থ ৩টি দোকান, এতে প্রায় ২৫ লক্ষাধীক টাকার ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে ব্যবসায়ীরা। মোরেলগঞ্জ ও কচুয়ার ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট দেড় ঘন্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রনে আনে। মোরেলগঞ্জ থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে, উপজেলার দৈবজ্ঞহাটি ইউনিয়নের পোলেরহাট বাজারে।
ক্ষতিগ্রস্থ ব্যবসায়ীরা জানান, রাত সাড়ে ১২ টার দিকে মসজিদের মাইকিং শুনে বাজারে এসে দেখি আগুন জ্বলছে। স্থানীয় লোকজন ও পোলেরহাট ফাড়ি পুলিশ আগুন নিভানোর জন্য চেষ্টা করেছেন। ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে এসে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনে, এরই মধ্যে ১৩টি দোকান পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।
পোলেরহাট বাজারে এ অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্থ ব্যবসায়ীরা হলেন, আল আমিন হাওলাদারের স্যানিটেশনের, মনিরুল ইসলামের স্টীল ফর্নিচার, শেখ কামাল খানের মায়ের দোয়া টেইলার্স, শাহজাহান খানের সিট কাপড়, জুয়েল শিকদারের সাইন্ড সিষ্টেম সার্ভিস, এখলাছ গাজীর টেইলার্স, বাবুল শেখের চায়ের দোকান, আফজাল খানের মুরগির দোকান, কাইয়ুম শিকদারের সেলাই মেশিন ও পার্স, আফজাল শেখের চায়ের দোকান সম্পূর্ন পুড়ে গেছে। এছাড়াও এ অগ্নিকান্ডে ফারুক আকনের হোটেল রেস্টুরেন্ট, পলাশ খানের পার্সের দোকান, ফাহিমা আক্তারের হোমিও ফার্মেসী, আফজাল হাওলাদারের প্লাস্টিক ও গো-খাদ্যের দোকান, পল্টু শেখের মুদি মনহারী দোকান আংশিক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। বৈদ্যুতিক সর্টসার্কিটের মাধ্যমে এ আগুনের সুত্রপাত ঘটতে পারে বলে ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয়দের ধারনা।
পোলেরহাট বাজার ব্যবসায়ী কমিটির সভাপতি দৈবজ্ঞহাটি ইউপি চেয়ারম্যান মো. সামছুর রহমান মল্লিক, সাধারণ সম্পাদক মো. মশিউর রহমান হাওলাদার, সহ-সভাপতি মো. মাহবুবুর রহমান বাবুল, সংশ্লীষ্ট ওয়ার্ডের সংরক্ষিত ইউপি সদস্য পূর্ণিমা বেগম, ক্ষতিগ্রস্থ্য দোকান ঘর মালিক আলতাফ শেখ ও আফসার উদ্দিন খান বলেন, রাত সাড়ে ১২টার দিকে বাজারে দায়িত্বরত পাহারাদার আফজাল শেখ আগুন জ্বলতে দেখে মসজিদের মাইকে প্রচার করেন। খবর পেয়ে তাৎক্ষনিক স্থানীয় লোকজন এসে আগুন নিয়ন্ত্রনের চেষ্টা করে। ওই রাতেই ফায়ার সার্ভিসের দু’টি ইউনিট ঘটনাস্থলে এসে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনে।
মোরেলগঞ্জ থানা অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ সামসুদ্দীনের নেতৃত্বে পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থলে এসে আইন শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণের কাজ করেছেন। ক্ষতিগ্রস্থ ব্যবসায়ীরা বিভিন্ন এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে ব্যবসা পরিচালনা করে আসছিলেন, তাদের এ ক্ষতি পুষিয়ে উঠতে প্রশাসনের সহযোগীতার দাবি করেছেন বাজার ব্যবসায়ী ও ব্যবসায়ী কমিটি।
এ বিষয়ে মোরেলগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের সাব-ষ্টেশন অফিসার গোলাম ফারুক বলেন, পোলেরহাট বাজারে অগ্নিকান্ডের খবর পেয়ে কচুয়া ফায়ার ষ্টেশন অফিসার রিপন ঘোষের নেতৃত্বে মোরেলগঞ্জ ও কচুয়ার দু’টি ইউনিট দেড় ঘন্টা চেষ্টা চালিয়ে এ আগুন নিয়ন্ত্রনে আনতে সক্ষম হয়, এরই মধ্যে ১৩ দোকান পুড়ে যায়। বৈদ্যুতিক সর্টসার্কিটের মাধ্যমে এ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটতে পারে, এতে ব্যবসায়ীদের ২৫ লাখ টাকা ক্ষতি হতে পারে বলে প্রাথমিক ভাবে ধারনা করা হয়েছে।
এ সম্পর্কে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল জাবির বলেন, পোলেরহাটে অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্থ্য ব্যবসায়ীদের ক্ষতির পরিমান নিরুপন পূর্বক তালিকা করে জমা দেয়ার জন্য ইউপি চেয়ারম্যানকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।