নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী এলাকার বাসিন্দা ওমান প্রবাসী মাহবুব হোসেনকে (২৮) খুনের ঘটনায় প্রধান আসামি স্থানীয় যুবক সাদ্দাম হোসেনকে (২২) গ্রেফতার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
সিআইডি জানায়, ওমানফেরত মাহবুবের সঙ্গে স্থানীয় বখাটে যুবক সাদ্দামের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিরোধ সৃষ্টি হয়। সর্বশেষ একটি মোবাইল নিয়ে বাগবিতণ্ডার জেরে পরিকল্পনা অনুযায়ী মাহবুবকে কুপিয়ে খুন করে সাদ্দাম। মঙ্গলবার (৭ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর মালিবাগ সিআইডি প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার (এসএসপি) মুক্তা ধর।
তিনি জানান, সোনাইমুড়ী এলাকার মেরী পাড়া গ্রামের ওমান প্রবাসী মাহবুব করোনা মহামারির সময়ে দেশে ফিরে আসেন। এরপর থেকেই তার সঙ্গে বিভিন্ন বিষয়াদি নিয়ে বিরোধ তৈরি হয় স্থানীয় বখাটে যুবক সাদ্দামের। কিছুদিন আগে একটি মোবাইল ফোনকে কেন্দ্র করে উভয়ের মধ্যে বাগবিতণ্ডা ও হাতাহাতি হয়।
এর জের ধরে গত ২৮ নভেম্বর সকাল ১০টার দিকে মাহবুবকে ফোনে ডেকে নিয়ে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে নৃশংসভাবে হত্যা করে পালিয়ে যায় সাদ্দাম।
এ ঘটনায় মৃতের ভাই সাইফুল ইসলাম বাদী হয়ে সোনাইমুড়ী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। হত্যাকাণ্ডের ঘটনাটি ছায়া তদন্তের ধারাবাহিকতায় প্রধান আসামি সাদ্দামকে চট্টগ্রামের হাটহাজারী এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। সাদ্দামকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের ভিত্তিতে এসএসপি মুক্তা ধর বলেন, মাহবুব করোনার আগে ওমানে কর্মরত ছিলেন। করোনায় চাকরিচ্যুত হয়ে তিনি দেশে ফিরে এলে সাদ্দামের সঙ্গে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে শত্রুতার সৃষ্টি হয়। এরই ধারাবাহিকতায় তাদের মধ্যে প্রচণ্ড বাগবিতণ্ডা ও হাতাহাতি হয়। এর পরেই মাহবুবকে হত্যার পরিকল্পনা করে সাদ্দাম।
পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী গত ২৮ নভেম্বর ধন্যপুর এলাকায় মাহবুবকে ডেকে নিয়ে ধারালো দা দিয়ে মাথা-গলাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে নৃশংসভাবে হত্যা করে পালিয়ে যায় সাদ্দাম।