রেমিট্যান্স আয়ে একের পর এক রেকর্ড গড়ছে বাংলাদেশ। করোনার প্রকোপের মধ্যেও প্রবাসীরা গত মে মাসেও দেশে রেকর্ড পরিমাণ অর্থ পাঠিয়েছেন। চলতি অর্থবছরের (জুলাই- মে) ১১ মাসে রেমিট্যান্স এসেছে দুই হাজার ২৮৩ কোটি ৭০ লাখ ডলার। যা গত বছরের একই সময়ের চেয়ে ৩৯ দশমিক ৪৯ শতাংশ বা ৭৭৮ কোটি ডলার বেশি। গত অর্থবছরের প্রথম ১১ মাসে দেশে রেমিট্যান্স এসেছিল এক হাজার ৬৩৭ কোটি ২০ লাখ ডলার। মঙ্গলবার বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে। প্রতিবেদনে দেখা গেছে, প্রবাসীরা গত মাসে রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন ২১৭ কোটি ১০ লাখ মার্কিন ডলার। ২০২০ সালের মে মাসে প্রবাসীরা রেমিট্যান্স পাঠিয়েছিলেন ১৫০ কোটি ৫০ লাখ ডলার।
প্রবাসীদের পাঠানো এই রেমিট্যান্স বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বাড়ার ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখছে। ১লা জুন বিকাল নাগাদ বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৪৫ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে গেছে। এর আগে প্রবাসীরা গত এপ্রিল মাসে রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন ২০৬ কোটি ৭০ লাখ ২০ হাজার মার্কিন ডলার। যা আগের বছরের এপ্রিলের তুলনায় প্রায় ৯৭ কোটি ডলার বেশি। গত বছর এপ্রিল মাসে রেমিট্যান্স এসেছিল ১০৯ কোটি ২৯ লাখ ৬০ হাজার। গত মাসে ঈদ থাকায় প্রবাসীরা বেশি বেশি রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন। এর আগে, করোনাভাইরাসের প্রকোপের মধ্যে গত বছরের জুলাই মাসে মাইলফলক রেমিট্যান্স পায় বাংলাদেশ। ওই মাসে প্রবাসীরা প্রায় ২৬০ কোটি ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছিলেন।
প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের ১লা জুলাই থেকে প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্সে দুই শতাংশ হারে প্রণোদনা দিচ্ছে সরকার। অর্থাৎ কোনো প্রবাসী ১০০ টাকা দেশে পাঠালে তার সঙ্গে আরও ২ টাকা যোগ করে মোট ১০২ টাকা পাচ্ছেন সুবিধাভোগী। এছাড়া ঈদ-উৎসবে বিভিন্ন ব্যাংক ও মোবাইল ব্যাংকিংয়ের সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান সরকারের প্রণোদনার সঙ্গে বাড়তি এক শতাংশ দেওয়ার অফার দিচ্ছে। এতে করে বৈধ চ্যানেলে রেমিট্যান্স পাঠাতে উৎসাহী হচ্ছেন প্রবাসীরা।