ভোলার চরফ্যাশনে নির্বাচনে হাজারীগঞ্জ ইউনিয়নে সংঘর্ষ, গুলিবর্ষণ, ও টান টান উত্তেজনার মধ্যে ভোটগ্রহণ গ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে।
এ ইউনিয়নে ৩ মেম্বারপ্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে একজন নিহত ও সাতজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। নিহতের নাম মো. মনির হোসেন (২৩)। তিনি এক মেম্বারপ্রার্থীর ছেলের গুলিতে নিহত হয়েছেন বলে পুলিশ জানিয়েছে।
এদিকে কোথায় ও কিভাবে গুলিবিদ্ধ হয়েছে, তা উপজেলা রিটার্নিং অফিসার জানেন না।
ইউএনও রুহুল আমিন জানান, শুনেছেন, কিন্তু কীভাবে হয়েছে তা জানেন না। কেন্দ্র শান্ত ও স্বাভাবিক ছিল। তাই ভোটগ্রহণ বন্ধ হয়নি।
৩ মেম্বার প্রার্থীর মধ্যে সংঘর্ষে একজন নিহত ও ৭ জন গুলিবিদ্ধ হবে আহত হয়েছেন।
স্থানীয়রা জানান, মেম্বার প্রার্থী ইয়াছিন মাঝি, ইউছুফ সিকদার ও রুহুলামিন গ্রুপের মধ্য সকাল ১০টায় সংঘর্ষ বাধে। এ সময় মনির হোসেন গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। আহতদের মধ্য ৪ বছর বয়সী রিতা ও জামাল উদ্দিনের স্ত্রী তাসলিমা বেগম (২৬) রয়েছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ১২ রাউন্ড গুলি ছোড়ে। নিহত ও আহতদের দাবি পুলিশের গুলিতে তারা গুলিবিদ্ধ হন।
অপরদিকে পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার জানান, এক মেম্বার প্রার্থীর ছেলের পিস্তলের ছোড়া গুলিতেই মনির মারা যায়। ওই ছেলেকে গ্রেফতারে পুলিশ অভিযান চালায়।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুহুল আমিন বলেন, পুলিশ কেন্দ্রের ভেতরের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে গুলি ছোড়ে। পরে কেন্দ্রের বাইরে মেম্বার প্রার্থীদের নিজেদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। ওই সময় ওই যুবক মারা যেতে পারে। তবে ভোটগ্রহণ বন্ধ হয়নি।
জেলা প্রশাসক তৌফিক ই লাহী চৌধুরী জানান, তিনি তজুমদ্দিনসহ বেশ কয়েকটি কেন্দ্র পরিদর্শন করেন। বৃষ্টির মধ্যেও ভোটাররা ভোট দিতে কেন্দ্রে আসেন। দুপুর পর্যন্ত ৫০ ভাগ ভোট গ্রহণ সম্পন্ন হয়। এ ছাড়া মনপুরায় কয়েক কেন্দ্রে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয়েছে বলে জানা যায়।
জেলায় অনুষ্ঠিত ১২ ইউনিয়নের মধ্যে বোরহানউদ্দিনে ২, তজুমদ্দিনে ৩, চরফ্যাশনে ৫ ও মনপুরায় ২টি ইউনিয়নে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
উৎসঃ যুগান্তর