উদ্ভূত করোনা পরিস্থিতিতে ঘরের বাইরে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২১ জুলাই) স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মেডিকেল শিক্ষা বিভাগ থেকে এই প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
এদিকে দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৩ হাজার ৫৭ জন। এ নিয়ে দেশে মোট শনাক্ত হলেন ২ লাখ ১০ হাজার ৫১০ জন। নতুন করে মৃত্যু হয়েছে ৪১ জনের। এ নিয়ে মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ২ হাজার ৭০৯ জন।
মঙ্গলবার (২১ জুলাই) দুপুরে কোভিড-১৯ সম্পর্কিত নিয়মিত স্বাস্থ্য বুলেটিনে এসব তথ্য জানান স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক নাসিমা সুলতানা।
তিনি জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ করা হয় ১৩ হাজার ১৫৯ জনের। এর মধ্যে পরীক্ষা করা হয় ১২ হাজার ৮৯৮ জনের। নতুন পরীক্ষা করা নমুনায় আরও ৩ হাজার ৫৭ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়।আক্রান্তদের মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৪১ জনের মৃত্যু হয়েছে।এ নিয়ে মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ২ হাজার ৭০৯ জনে। এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন আরও ১ হাজার ৮৪১ জন। ফলে মোট সুস্থ রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল ১ লাখ ১৫ হাজার ৩৯৭ জনে।
এর আগে গত সোমবার (২০ জুলাই) একদিনে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হন ২ হাজার ৯২৮ জন। এছাড়া আক্রান্তদের মধ্যে মারা যান ৫০ জন।
বাংলাদেশে গত ৮ মার্চ প্রথম করোনা ভাইরাসের রোগী শনাক্ত হলেও প্রথম মৃত্যুর খবর আসে ১৮ মার্চ। দিন দিন করোনা রোগী শনাক্ত ও মৃতের সংখ্যা বাড়ায় নড়েচড়ে বসে সরকার। ভাইরাসটি যেন ছড়িয়ে পড়তে না পারে সেজন্য ২৬ মার্চ থেকে বন্ধ ঘোষণা করা হয় সব সরকারি-বেসরকারি অফিস। কয়েক দফা বাড়িয়ে এ ছুটি ৩০ মে পর্যন্ত করা হয়। ছুটি শেষে করোনার বর্তমান পরিস্থিতির মধ্যেই ৩১ মে থেকে দেশের সরকারি-বেসরকারি অফিস খুলে দেয়া হয়। তবে বন্ধ রাখা হয়েছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।
এদিকে পরিসংখ্যানভিত্তিক ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারের দেয়া সর্বশেষ মঙ্গলবার (২১ জুলাই) সকালের তথ্যানুযায়ী, বিশ্বে এখন পর্যন্ত এ ভাইরাসে শনাক্ত ৬ লাখ ১৩ হাজার ২১৩ জন মারা গেছেন। অন্যদিকে ভাইরাসটি শনাক্ত হয়েছে ১ কোটি ৪৮ লাখ ৫২ হাজার ৭০০ জনের শরীরে। ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হওয়ার পর সুস্থ হয়েছেন ৮৯ লাখ ৬ হাজার ৬৯০ জন। বর্তমানে সংক্রমণ রয়েছে ৫৩ লাখ ৩২ হাজার ৭৯৭ জনের শরীরে। এদের মধ্যে ৬৩ হাজার ৩৪৭ জনের অবস্থা গুরুতর।