মাস্ক ছাড়া কোনও সরকারি বা বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে সেবা না দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে সরকার। সোমবার (১৯ অক্টোবর) দুপুরে মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর সচিবালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম এ তথ্য জানান।
এর আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার ভার্চুয়াল বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে এবং মন্ত্রিপরিষদের অন্য সদস্যরা সচিবালয় থেকে এই সভায় যোগ দেন।
প্রেস ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, চারদিকে ম্যাসিভ ইন্সট্রাকশন দেওয়া হয়েছে, সব স্তরেই। আমাদের যতগুলো ইনস্টিটিউশন আছে, লোকাল বা অর্গানাইজেশনাল প্রতিষ্ঠান সব জায়গায় নির্দেশনা দিয়েছি ‘নো মাস্ক নো সার্ভিস’। সব প্রতিষ্ঠান, হাট, বাজার, শপিংমল, স্কুল, সামাজিক বা ধর্মীয় সম্মেলনে অবশ্যই মাস্ক ব্যবহার করতে হবে– এই নির্দেশনা দিয়ে দিয়েছি আমরা। গত মিটিংয়েও বলেছিলাম, আমরা ডিভিশনাল কমিশনারদের ইতোমধ্যেই নির্দেশনা দিয়ে দিয়েছি সব সরকারি-বেসরকারি অফিসের বাইরে বড় একটা পোস্টার দেওয়া থাকবে– মাস্ক ছাড়া প্রবেশ করতে পারবেন না এবং মাস্ক ছাড়া কেউ সার্ভিস ব্যবহার করতে পারবেন না।
সব জায়গায় মাস্ক ব্যবহারে কঠোর পদক্ষেপ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমাদের সব মসজিদে অন্তত দু’বার নামাজের পর মাস্ক পরার বিষয়ে রাষ্ট্রীয় আদেশ প্রচার করতে হবে। আলেম-ওলামাদের সঙ্গেও কথা বলেছি, তারাও সেটার সঙ্গে একমত। সরকারি প্রতিষ্ঠানে মাস্ক ছাড়া ঢুকতেই দেওয়া হবে না। শুধু সরকারি নয়, বেসরকারি প্রতিষ্ঠানেও। গণপরিবহনের বিষয়েও আমরা কথা বলবো। আমরা সড়ক, নৌপরিবহন ও রেল সচিবের সঙ্গে কাল-পরশুই বসবো। সেখানে একটা সিদ্ধান্ত নেবো। ‘নো মাস্ক নো সার্ভিস’ এটা অলরেডি কনভে করা হয়ে গেছে।
করোনার সময় অন্য রোগীদের সেবা পেতে সমস্যা হয়েছে, আবার দ্বিতীয় ঢেউ আসছে- এ বিষয়ে খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, এখন আল্লাহর রহমতে ওই প্রবলেমটা হবে না। এখন একটা ট্রিটমেন্ট প্রোটকল চলে আসছে। ওই প্যানিকটা (আতঙ্ক) চলে গেছে। ইনিশিয়ালি (শুরুতে) তো বোঝা যাচ্ছিল না জিনিসটা কী? ডাক্তার-স্টাফরাও এখন আর অত ভয় পাচ্ছে না। আমি দু-একটি হাসপাতালে গিয়ে দেখেছি।
হাসপাতালগুলোতে এ বিষয়ে কোনো নির্দেশনা আছে কিনা- এ বিষয়ে তিনি বলেন, নির্দেশনা আছে, কোভিড ও নন-কোভিড দুটোকে আলাদা করে চিকিৎসা করা। ঢাকা মেডিকেলেই দেখেন কোভিড আলাদা হয়ে গেছে, এটা আলাদা হয়ে গেছে। কোনো অসুবিধা হচ্ছে না।