দেশে ছুটিতে গিয়ে আটকেপড়া মালয়েশিয়া প্রবাসীদের দেশটিতে প্রবেশে লাগবে না করোনা অপারেশন (ইন্স্যুরেন্স) ২৬০০ রিংগিত ফি। শুক্রবার দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক নোটিশে এমনটি জানানো হয়েছে।
আগামী ১৫ নভেম্বর থেকে শুধুমাত্র ৭ দিনের হোটেল ভাড়া ১০৫০ রিংগিত এবং করোনার পিসিআর টেস্ট দুইবার ৫০০ রিংগিত খরচের সঙ্গে যুক্ত হবে এয়ার টিকিটের খরচ।
এর আগে, গত ২৮ অক্টোবর মালয়েশিয়া ইমিগ্রেশন বিভাগের ফেসবুক পেজে দেওয়া এক বিজ্ঞপ্তি জানানো হয়েছিল ১ নভেম্বর থেকে ইমিগ্রেশনের পূর্বানুমতি বা মাই-ট্রাভেল পাস (এমটিপি) ছাড়াই মালয়েশিয়ায় প্রবেশ করতে পারবেন প্রবাসীরা।
এক্ষেত্রে যাদের ভিসার মেয়াদ আছে তারা কিছু শর্ত মেনে অনুমতি ছাড়াই দেশটিতে সরাসরি প্রবেশ করতে পারবেন। আর যাদের ভিসার মেয়াদোত্তীর্ণ হয়ে গেছে তারা মাই-ট্রাভেল পাসের মাধ্যমে আবেদন করে দেশটিতে প্রবেশ করতে পারবেন। এক্ষেত্রে বিদেশিরা মালয়েশিয়ায় প্রবেশ করতে চাইলে দুই ডোজ টিকা সম্পন্নের প্রমাণপত্র, করোনা নেগেটিভ রিপোর্টসহ আসতে হবে।
এরপর বিমানবন্দরে স্থাপিত কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে সাতদিন অবস্থান করতে হবে। এই সাতদিন কোয়ারেন্টাইন সেন্টারের খরচ অভিবাসীকর্মী অথবা তার নিয়োগকর্তাকে বহন করতে হবে এবং যেসব ক্যাটাগরির ভিসা বা পারমিটধারীদের প্রবেশের ক্ষেত্রে অনুমতি দেওয়া হয়েছে সেগুলো হচ্ছে- কূটনীতিক ভিসাধারী, পিআর পাস, পেরোল পাস, রেসিডেন্ট পাস, স্থায়ী বাসিন্দা ও তাদের পোষ্য, দীর্ঘমেয়াদি পাস (স্বামী/স্ত্রী/সন্তান), সিনিয়র সিটিজেন পাস, পাস বালু, শিক্ষার্থী ভিসা, মাই সেকেন্ড হোম, বিদেশি গৃহকর্মী, রেসিডেন্ট পাস, দীর্ঘমেয়াদি অস্থায়ী জব পাস (পিএলকেএস), গৃহপরিচারিকা ও ট্যুরিস্ট।
২০২০ সালের ১৮ মার্চ লকডাউন ঘোষণার পর অনেক মালয়েশিয়া প্রবাসী ছুটিতে কিংবা জরুরি প্রয়োজনে নিজ দেশে গিয়ে আটকা পড়েন। তখন মালয়েশিয়া সরকার বিদেশিদের ফেরার পথ বন্ধ রাখায় তারা বিপাকে পড়েন। সে সময় মালয়েশিয়ার ইমিগ্রেশন বিভাগের অনুমতির জন্য মাই-ট্রাভেল পাস (এমটিপি) আবেদন করতে হতো।
তবে এই প্রক্রিয়ায় প্রবাসীদের অনুমতি পাওয়া ছিল দুঃসাধ্য ব্যাপার। এখন করোনা পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ায় দেশটির সরকার পর্যায়ক্রমে বিধিনিষেধ শিথিল করা শুরু করেছে।