মালয়েশিয়া থেকে দেশে ফেরার অপেক্ষায় বাংলাদেশিসহ ৫,৯৫১ জন অবৈধ অভিবাসী। করোনাভাইরাস রোধে ১৮ মার্চ থেকে শুরু হওয়া মুভমেন্ট কন্ট্রোল অর্ডার (এমসিও) এবং রিকভারি মুভমেন্ট কন্ট্রোল অর্ডার (আরএমসিও) নিয়ন্ত্রণ আদেশ লকডাউন চলাকালীন এসব অবৈধ অভিবাসীকে আটক করে অভিবাসন বিভাগ।
এর মধ্যে ২৭৯ জন বাংলাদেশি অবৈধ অভিবাসী রয়েছেন বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।
দেশটির ইমিগ্রেশন পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী যৌথভাবে ৪,৩০১টি অভিযান পরিচালনা করে। এ সময় ৬৮,০৩৩ জন অভিবাসীর নথিপত্র যাচাই-বাছাই করে ৫,৯৫১ জনকে গ্রেফতার করা হয়।
মঙ্গলবার ২১ জুলাই মালয়েশিয়ার জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিল এ বিষয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ১৮ মার্চ থেকে পহেলা জুলাই পর্যন্ত লকডাউন চলাকালীন এ সব অবৈধ অভিবাসীকে আটক করা হয়েছে এবং তাদের প্রত্যেককে আদালতে সোপর্দ করার পর জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
আটককৃতদের মধ্যে বাংলাদেশি ২৭৯ নাগরিক, ইন্দোনেশিয়ার ৪,১১০, থাইল্যান্ড ৬৩৭, পাকিস্তান ৩৮০, চায়না ৭৩, ভারত ২৬, শ্রীলংকা ১১ জন এবং বাকি ৪৪ জন বিভিন্ন দেশের নাগরিক।
এদের নির্দিষ্ট সময়ের সাজা শেষে নিজ নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হবে বলে জানা গেছে।
এ দিকে মালয়েশিয়ার ইমিগ্রেশন বিভাগ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, অবৈধ অভিবাসী ও বিভিন্ন কারণে ডিটেনশন ক্যাম্পে আটক অভিবাসীরা করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন এবং তাদের সরকারি ব্যবস্থাপনায় চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
দক্ষিণ এশিয়ার আইকন হিসেবে মালয়েশিয়া কোভিড-১৯ প্রাদুর্ভাব নিয়ন্ত্রণে ব্যাপক সফলতা অর্জন করে প্রশংসিত হয়েছে। গত এক মাস ধরে সারা দেশে করোনা পজিটিভ রোগীর সংখ্যা ২৪ ঘণ্টায় এক ডিজিটের মধ্যে নেমে এসেছিল। যদিও ২ দিন ধরে আক্রান্তের সংখ্যা কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে। দেশটিতে এ পর্যন্ত ৮ হাজার ৮৩১ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। আর এ ভাইরাসে প্রাণ গেছে ১২৩ জনের। তবে এখন পর্যন্ত মালয়েশিয়ায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে কোনো বাংলাদেশি প্রবাসী মারা যাওয়ার খবর পাওয়া যায়নি।
উৎসঃ যুগান্তর