মালয়েশিয়ায় ৫ হাজার একর জায়গা নিয়ে প্রতিষ্ঠিত প্রথম দৃষ্টিনন্দন পূর্ণাঙ্গ ভাসমান মসজিদটির নাম ‘সুলতানা জাহরা’। এখন মালয়েশিয়ায় পর্যটকপ্রিয় জায়গাগুলোর মধ্যে ও ‘সুলতানা জাহরা’ মসজিদ অন্যতম।
রুচি ও সৌন্দর্যবোধে মালয়েশিয়ান মুসলিমদের সুনাম আছে বিশ্বজুড়ে। বিশেষত মসজিদ নির্মাণে তাদের রয়েছে নিজস্ব ঐতিহ্য ও রীতি। আর খোলামেলা পরিবেশে নির্মিত দৃষ্টিনন্দন ‘সুলতানা জাহরা’ মসজিদের প্রতি শুধু মুসলিম নয়, অমুসলিমদেরও রয়েছে আকর্ষণ। অনিন্দ্য ও আধুনিক নির্মাণশৈলী সমৃদ্ধ স্থাপনাটি কুয়ালা তেরেঙ্গানা শহর থেকে চার কিলোমিটার দূরে কুয়াল ইবে নদীর তীরবর্তী অবস্থিত।
মসজিদটির নির্মাণকাজ শুরু হয় ১৯৯৩ সালে এবং তা সমাপ্ত হয় ১৯৯৫ সালে। একই বছরের জুলাইয়ে তা মুসল্লিদের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়। ‘ সুলতানা জাহরা ’ মসজিদ আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন প্রয়াত সুলতান মাহমুদ আল – মুকতাফি বিল্লাহ শাহ ।
আধুনিকতা ও ঐতিহ্যের মিশেলে নির্মিত মসজিদটিকে শৈল্পিক কারুকাজ দ্বারা শোভিত করা হয়েছে। সৌন্দর্যবর্ধনে মেঝে ও দেয়ালে মার্বেল , চীনামাটির ফলক এবং মোজাইকের সুষম ব্যবহার নিশ্চিত করা হয়েছে। প্রায় পাঁচ একর জায়গাজুড়ে অবস্থিত সুলতানা জাহরা মসজিদে একসঙ্গে অন্তত দুই হাজার মুসল্লি নামাজ আদায় করতে পারে । মালয়েশিয়ায় কোটা কিনাবালু সিটি মসজিদ , মসজিদ সালাহ মালাকা , ক্রিস্টাল মসজিদ , পুত্রা মসজিদ , পেনাং মসজিদসহ আরও অনেক ভাসমান মসজিদ থাকলে সুলতানা জাহরা মসজিদ দেশটির প্রথম পূর্ণাঙ্গ ভাসমান মসজিদ ।