মালয়েশিয়ায় ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যেই অবৈধ অভিবাসীদের বৈধতার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে বলেছেন দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হামজাহ জয়নুদ্দিন। এরপরই শুরু হবে বড় ধরনের অভিযান।
২০২২ সালের ১ জানুয়ারি, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং মানবসম্পদ মন্ত্রণালয় অনথিভুক্ত অভিবাসীদের ধরতে একটি বড় আকারের প্রয়োগকারী অভিযান শুরু করবে বলেও তিনি জানিয়েছেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, রিক্যালিব্রেশন প্ল্যান হলো নিয়োগকর্তাদের জন্য একটি সুযোগ, যারা অবৈধ বিদেশী কর্মীদের নিয়োগ দিচ্ছেন এবং নথিভুক্ত নিশ্চিত করতে প্রোগ্রামের সঙ্গে নিবন্ধন করার জন্য এগিয়ে আসবেন। সরকারও চায় নিয়োগকর্তারা এই বিষয়টিকে গুরুত্ব সহকারে দেখুক কারণ অবৈধ শ্রমিক থাকলে সমস্যা তৈরি হবে।
হামজাহ জয়নুদ্দিন এক বিবৃতিতে বলেন, সম্প্রতি অবৈধ অভিবাসী কর্মীদের যখন টিকা দেয়া হয়েছে, তখন এটি কঠিন হয়ে পড়েছিল। কিছু অনথিভুক্ত অভিবাসী কোভিড-১৯ এর কারণে মারা গেছে এবং এটি কেবল আরও সমস্যার দিকে পরিচালিত করেছে। তাই ৩১ ডিসেম্বরের আগে নিয়োগকর্তারা তাদের কর্মীদের পুনঃনির্মাণ প্রোগ্রামে নিবন্ধিত করতে হবে।
এদিকে পুনঃনির্মাণ কর্মসূচির দুটি অংশ ছিল শ্রম এবং প্রত্যাবাসন। শ্রম- পুনঃনির্মাণ কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হয়েছিল নির্দিষ্ট কিছু খাতে যেমন নির্মাণ, উৎপাদন, বৃক্ষরোপণ, কৃষি এবং পরিষেবাতে নিয়োগকর্তাদের বৈধভাবে অনথিভুক্ত বিদেশি কর্মীদের নিয়োগের অনুমতি দেওয়ার জন্য।
প্রত্যাবাসন পুনঃনির্মাণ কর্মসূচি হলো যেখানে নথিবিহীন অভিবাসীরা স্বেচ্ছায় স্বদেশে ফিরে যেতে পারে। চলমান রিক্যালিব্রেসি প্রক্রিয়ায় ২ লাখ ১২ হাজার ৯২৬ বৈধ হওয়ার জন্য নিবন্ধিত হয়েছেন। এর মধ্যে ৩৪ হাজার ৩১৮ জন নথিভুক্ত কর্মী তাদের যাচাইকরণ প্রক্রিয়ায় উত্তীর্ণ হয়েছেন এবং ২০ হাজার ৮৮৯ জন ব্যর্থ হয়েছেন। আরো ১ লাখ ৫৭ হাজার ৭১৯ এখনও ইমিগ্রেশন বিভাগের সঙ্গে যাচাইকরণ প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে পারেনি।
এ দিকে রিক্যালিব্রেশন প্রোগ্রাম থেকে সরকার ১০৬,৪৬৩,০০০ রিঙ্গিত ডিপোজিট মানি পেয়েছে, আর ১৪৬,২৬৬ রিঙ্গিত আদায় করা হয়েছে লেভি, পাস, ভিসা এবং প্রসেসিং ফি থেকে।
প্রত্যাবাসনের বিষয়ে হামজাহ বলেছেন, ২১ অক্টোবর পর্যন্ত ১ লাখ ২৪ হাজার ৪২৩ অনথিভুক্ত কর্মীকে যার যার দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে। সরকার প্রত্যাবাসন কর্মসূচির অধীনে ১,৩৬৮,৭০০ রিঙ্গিত জরিমানা (কম্পাউন্ড) আদায় করেছে।