মালয়েশিয়ায় কাজে দীর্ঘদিন অনুপস্থিত ছিলেন এক বাংলাদেশি। তাকে খুঁজে না পেয়ে নিয়োগকর্তা পুলিশ রিপোর্ট দায়ের করেন। এর পরই তার সঙ্গে থাকা অপর বাংলাদেশি পালিয়ে গেলে পুলিশ অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করে। জিজ্ঞাসাবাদে সে হত্যার কথা স্বীকার করে।
জানা গেছে, মালয়েশিয়ায় কথা কাটাকাটির জেরে কাঠ দিয়ে মাথায় আঘাত করে এক বাংলাদেশিকে হত্যার অভিযোগে আরেক বাংলাদেশিকে গ্রেফতার করেছে দেশটির পুলিশ। তারা দুজনেই একই রুমে বসবাস ও একসঙ্গে চাকরি করতেন বলে জানা গেছে।
মালয়েশিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা বারনামার প্রতিবেদনে বলা হয়, ময়নাতদন্তের জন্যে লাশ উদ্ধার করে তুয়ানকু হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে স্থানীয় সংবাদ মাধ্যম জানায়, স্থানীয় সময় বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে সেরেমবান প্রদেশে একটি নির্মাণাধীন ভবন থেকে নিহত বাংলাদেশির লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। পুলিশ পলাতক অবস্থায় ২৯ বছর বয়সী বাংলাদেশি যুবককে গ্রেফতার করেছে। তবে পুলিশ নিহত বাংলাদেশি ও গ্রেফতার বাংলাদেশির নাম ঠিকানা প্রকাশ করেনি।
জানা গেছে, লাশ পুলিশকে না জানিয়েই দাফন করা হয়েছিল। পরে কাজে নিহত ব্যক্তি দীর্ঘদিন অনুপস্থিত থাকায় ও তাকে খুঁজে না পেয়ে নিয়োগকর্তা পুলিশ রিপোর্ট দায়ের করেন। তারপরই অপর বাংলাদেশি পালিয়ে যায়। তখন পুলিশের সন্দেহ হয়। তারপর পুলিশ অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করে।
সেরেম্বান থানার প্রধান সহকারী কমিশনার মোহাম্মদ সাইদ ইব্রাহিম বলেছেন, এখানকার তামান মুতিয়ারা গাল্লায় একটি নির্মাণ সাইটে দাফন করা হয় এবং এখানেই তাকে মাথায় কাঠ দিয়ে আঘাত করে খুন করা হয়।
তিনি বলেন, প্রাথমিক তদন্তের ভিত্তিতে জানা গেছে ৩০ বছর বয়সী নিহত ব্যক্তির গৃহবধূও ছিল। তবে খুনি পুলিশের কাছে স্বীকার করেছে যে সে তার স্বদেশীকে হত্যা করেছে। হত্যার পর যেখানে লাশ দাফন করা হয়েছে সে জায়গাটিও সে পুলিশকে শনাক্তকরণে সহযোগিতা করছে। এ সময় যে কাঠের টুকরা দিয়ে তাকে হত্যা করা হয়েছে সেই কাঠের টুকরা টি উদ্ধার করেছে পুলিশ।