মালয়েশিয়ার অভিবাসন বিভাগের অভিযানে ফের ৮৮ বাংলাদেশিসহ ২২৯ বিদেশি শ্রমিক গ্রেফতার করেছে ইমিগ্রেশন পুলিশ।
দেশটির ক্লাংয়ের একটি কারখানায় অভিযানের সময় ২২৯ বিদেশী কর্মীদের গ্রেপ্তার করা হয়।
ইমিগ্রেশনের মহাপরিচালক খায়রুল দাযামি দাউদ জানান, বুধবার সকাল ১১টায় পুলিশ, শ্রম বিভাগ, মালয়েশিয়ার সিভিল ডিফেন্স ফোর্স এবং জাতীয় নিবন্ধকরণ বিভাগের (জেপিএন) ৯০ জন ইমিগ্রেশন অফিসার এবং ৩৫ জন প্রয়োগকারী কর্মকর্তা নিয়ে এই অভিযান পরিচালনা করা হয়।
এক বিবৃতিতে মহাপরিচালক বলেছেন, কারখানাটি কেবল চলমান আন্দোলন নিয়ন্ত্রণ আদেশের (এমসিও) অধীনে এসওপিগুলিকে লংঘন করেছিল না, অনিবন্ধিত বিদেশী কর্মীদের ব্যবহার করে আইন ভঙ্গ করেছে বলেও সত্যতা পাওয়া গেছে।
তিনি বলেন, অভিযানের সময় ৯৯ জন ভারতীয় নাগরিক, ৮৮ বাংলাদেশি, ৩৩ জন পাকিস্তানি, পাঁচ মিয়ানমার, তিন ইন্দোনেশিয়ান এবং একজন নেপালিসহ মোট ২৯৯ বিদেশী কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অভিযানকালে এমন কিছু বিদেশি ছিলেন যারা পালিয়ে গিয়ে লুকিয়ে থাকার চেষ্টা করেছিলেন, তবে এই প্রচেষ্টা তাদের ব্যর্থ হয়েছে। প্রয়োগকারী কর্মকর্তারা এদের গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছেন।
অভিযুক্ত অপরাধগুলির মধ্যে রয়েছে, বৈধ ভ্রমণের ডকুমেন্ট না থাকা, সামাজিক ভিজিট পাসের অপব্যবহার। আটককৃতদের বীর্যপাতী ইমিগ্রেশন ডিটেনশন সেন্টারে নেয়ার আগে কোভিড -১৯ এর স্ক্রিনিং করা হয়েছে।
তাদের অভিবাসন আইন ১৯৫৯/৬৩ এবং পাসপোর্ট আইন ১৯৬৬ এর অধীনে বিভিন্ন অপরাধের জন্য তদন্ত করা হচ্ছে। এ ছাড়া লকডাউন এসওপিগুলি মেনে চলতে না পারায় কারখানায় পুলিশ কর্তৃক ১০ হাজার এবং শ্রম বিভাগ কর্তৃক ২০ হাজার রিঙ্গিত জরিমানা করা হয়েছে বলে ইমিগ্রেশন মহাপরিচালক খায়রুল দাাজাইমি দাউদ জানিয়েছেন।
এদিকে গত ৬, ২১ ও ২৯ জুন অভিবাসন বিভাগের বড় তিনটি অভিযানে ৭০৯ জন অবৈধ অভিবাসীকে গ্রেফতার করে ইমিগ্রেশন পুলিশ। এর মধ্যে ১৮২ জন বাংলাদেশি রয়েছেন। একে তো কাজ নেই, তার ওপর ধরপাকড় অব্যাহত থাকায় ভীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে মালয়েশিয়া প্রবাসীদের মধ্যে।