ভুয়া পাসপোর্ট বিক্রির অভিযোগে এক মার্কিন কূটনীতিককে গ্রেফতার করেছে তুরস্ক। ওই কূটনীতিক বৈরুতে মার্কিন কনস্যুলেটে কর্মরত ছিলেন বলে জানা গেছে। তবে ওই ব্যক্তি কূটনীতিক নয় বলে দাবি করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। খবর রয়টার্সের।
বুধবার তুর্কি গণমাধ্যমে বলা হয়, সিরিয়ার এক নাগরিককে জাল পাসপোর্ট দেয়ার সন্দেহে যুক্তরাষ্ট্রের ওই কূটনীতিককে তুরস্কের পুলিশ গ্রেফতার করে। পরে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
ডেইলি সাবাহ’র খবরে বলা হয়, গত ১১ নভেম্বর ওই মার্কিন কূটনীতিককে প্রাথমিকভাবে ইস্তাম্বুল বিমানবন্দরে আটক করা হয়। ইস্তাম্বুল বিমানবন্দরে পাসপোর্ট হস্তান্তরের ঘটনাটি ঘটে। পাসপোর্ট দেওয়ার বিনিময়ে ওই মার্কিন কূটনীতিক ১০ হাজার ডলার পেয়েছেন। এই দৃশ্য সিসিটিভি ক্যামেরায় ধরা পড়ে। ঘটনায় জড়িত সিরিয়ান নাগরিককে তার নামের ‘আর এস’ আদ্যক্ষর দিয়ে চিহ্নিত করা হয়েছে। ওই কূটনীতিক লেবাননে মার্কিন দূতাবাসে কর্মরত। তাই তিনি তুরস্কে কূটনৈতিক সুরক্ষা পাবেন না। সেকারণেই তাকে গ্রেফতার করার অধিকার তুরস্কের আছে।
জাল পাসপোর্ট ইস্যুর অভিযোগে মার্কিন কূটনীতিককে গ্রেফতারের তথ্য প্রকাশ করতে তুরস্কের পুলিশ কেনো এক মাসের বেশি সময় নিলো, সে বিষয়ে স্পষ্ট কিছু জানায়নি দেশটির পুলিশ।
পর্যবেক্ষকদের মতে, এমনিতেই যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তুরস্কের সম্পর্ক ভালো নয়। তার ওপর এভাবে তুরস্ক এক কূটনীতিককে গ্রেফতার করায় সম্পর্ক আরও খারাপ হতে পারে। এ বিষয়ে আঙ্কারায় মার্কিন দূতাবাসের পক্ষ থেকে কোনো মন্তব্য করা হয়নি।