ভারতীয় সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের সান ফ্রান্সিসকোর একটি হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন ছিলেন ওস্তাদ জাকির হোসেন।
এর আগে রোববার রাতে জাকির হোসেনের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়ে। এরপর ভারতের কেন্দ্রীয় মন্ত্রী, মুখ্যমন্ত্রীসহ বিভিন্ন পর্যায়ের লোকজন তার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট দেন। যদিও তখন জাকির হোসেনের পরিবারের পক্ষ থেকে কোনও আনুষ্ঠানিক বিবৃতি ছিল না।
ভারতের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ও জাকির হোসেনের মৃত্যুর খবরের বিষয়ে এক্সে পোস্ট দিয়েছিল। তবে পরে সেই পোস্টটি মুছে ফেলা হয়।
পরে আমির আউলিয়া নামের একজন এক্সে এক পোস্টে বলেছেন, তিনি জাকির হোসেনের ভাতিজা। জাকির হোসেন মারা যাননি। চাচার শারীরিক সুস্থতার জন্য তারা সবার কাছে দোয়া চান।
এছাড়া জাকির হোসেনের বোন খুরশিদ আউলিয়া সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে বলেন, ‘আমার ভাই এই মুহূর্তে গুরুতর অসুস্থ। আমরা ভারতে এবং সারা বিশ্বে তার সমস্ত ভক্তদের কাছে তার (জাকির হোসেন) জন্য, তার স্বাস্থ্যের জন্য প্রার্থনা করার অনুরোধ করছি।’
ভারতীয় ধ্রুপদি সংগীতের একজন পুরোধা হিসেবে বিবেচনা করা হয় জাকির হোসেনকে। কিংবদন্তি তবলাবাদক আল্লারাখার প্রথম সন্তান জাকির হোসেনের জন্ম ১৯৫১ সালে ভারতের মুম্বাই শহরে। তিন বছর বয়স থেকে বাবার কাছে তবলায় তার হাতেখড়ি। ১২ বছর বয়সে বাবার সঙ্গে প্রথম কনসার্ট। সেই থেকে তার খ্যাতি ছড়িয়ে পড়ে ভারতজুড়ে।
২০০৬ সালে ‘মোমেন্ট রেকর্ড’-এর মুক্তিপ্রাপ্ত অ্যালবাম ‘গোল্ডেন স্ট্রিং অব দ্য সরোদ’ গ্র্যামি পুরস্কারের জন্য মনোনীত হয়। পদ্মশ্রী, পদ্মভূষণ, গ্র্যামি ছাড়া আরও বহু পুরস্কার ও সম্মাননায় ভূষিত হয়েছেন বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী জাকির হোসেন।