বর্তমানে পাশ্চাত্য অপসংস্কৃতির কবলে পড়ে যুব সমাজ ইসলামের অমিয়ধারা ভুলে গিয়ে পাপাচারে লিপ্ত। পুণ্যের তুলনায় বাড়ছে পাপ কাজের প্রতিযোগিতা। এই কঠিন যুগে এসে গুনাহ করতে করতে মানুষের আলোকময় ক্বলবে পড়ছে মরিচীকার আবরণ। বিভিন্ন দেশে মুসলমানরা কলংকের বোঝা কাঁধে নিয়ে এদিক-ওদিক ছোটাছুটি করছেন। তার একমাত্র কারণ হলো প্রিয় রাসূল (দঃ) এর রেখে যাওয়া আদর্শ থেকে বিচ্যুতি এবং তার দেখানো পথ থেকে দুরে সরে যাওয়া। সুতরাং মুসলিম বিশ্বের মুক্তির একমাত্র পথ নবীজির অনুসরণ-অনুকরণ। যুগের এ অসময়ে হযরত গাউছুল আজম রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু এর চোখের জলে প্রতিষ্ঠিত মুনিরীয়া তরিক্বতের ছায়াতলে এসে ফয়েজ- তাওয়াজ্জুহ গ্রহণের মাধ্যমে হাজারো পথহারা যুবক পরিনত হচ্ছে খোদার প্রিয় বান্দায়। যাদের হাতে মাদক থাকার কথা তারা আজ তাসবিহ নিয়ে ব্যস্ত, গান বাজনা ছেড়ে তারা দৈনিক এগারো শত এগারো বার দরূদ মোস্তফা (সাঃ) আদায়ের মাধ্যমে তারা ঈদে মিলাদুন্নবী পালন করছে প্রতিনিয়ত। আলোময় পথে এসে প্রত্যেকে হয়ে উঠে এক একজন মানবিক মানুষ। এদের নিয়ে মানবিক সমাজ বির্নিমাণে গাউছুল আজমের তরিক্বত তথা মুনিরীয়া তরিক্বত অনন্তর কাজ করে যাচ্ছে। বর্তমানে হযরত গাউছুল আজম রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুর এর একমাত্র প্রতিনিধি গাউছুল আজম রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুর পথ অনুসরণ করে দেশের তরুণ ও যুবকদের আল্লাহ ও রাসূল (দ.) এর পথে এনে সামাজিক ও রাষ্ট্রিয় সমৃদ্ধিতে কাজ করে যাচ্ছেন। শনিবার (২ ডিসেম্বর) মুনিরীয়া যুব তবলীগ কমিটি বাংলাদেশ ৫নং উত্তর মাদার্শা শাখার উদ্যোগে উত্তর মাদার্শা উচ্চ বিদ্যালয় মিলনায়তনে আয়োজিত এশায়াত সেমিনারে বক্তারা এসব কথা বলেন।
শাখার সভাপতি আলহাজ্ব ডাঃ মুহাম্মদ সিরাজুল হকের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক প্রফেসর ড: জালাল আহমদ।
এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন মুনিরীয়া যুব তবলীগ কমিটি বাংলাদেশর সহ-সভাপতি ও উত্তর মাদার্শা উচ্চ বিদ্যালয়ের পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি আলহাজ্ব মুহাম্মদ নুর খান। সেমিনারে বিশেষ অতিথি ছিলেন, উপাধ্যক্ষ মুহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, ছিবগাতুল্লাহ মুহাম্মদ আরিফ, হযরতুলহাজ্ব আল্লামা মুহাম্মদ সেকান্দর আলী প্রমূখ। মাহফিলে অনেক গন্যমান্য ব্যক্তি, স্থানীয় ব্যবসায়ী ও ধর্মপ্রাণ মুসলমান উপস্থিত ছিলেন। মিলাদ-ক্বিয়াম শেষে বিশ্ব মুসলিম উম্মাহ্র সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধি এবং দরবারের প্রতিষ্ঠাতা হযরত গাউছুল আজম রাদ্বিয়াল্লাহু আন্হুর ফুয়ুজাত কামনা করে বিশেষ মুনাজাত পরিচালনা করা হয়।