তবে আজও প্রথম সেশনটা ভালো হয়নি টাইগারদের। নিজের বোকামোয় উইকেট বিলিয়ে দিয়ে এলেন মুশফিক। হাসান আলির অফ স্টাম্পের বাইরের বলে ছেড়ে দিয়ে বোল্ড হয়ে ফিরলেন ১৬ রান করে। কিন্তু বিপদে আরো পড়ল টাইগাররা।
ইয়াসির আলি রাব্বি ভালোই খেলে যাচ্ছিলেন। বেশ আস্থার সঙ্গে সোজা ব্যাটে খেলছিলেন। বাজে বল পেলেই বাউন্ডারিতে পাঠাচ্ছিলেন।
লিটন দাসকে নিয়ে ভালোই একটি জুটি গড়ার চেষ্টা করছিলেন অভিষিক্ত এই ব্যাটার।
কিন্তু সেটি আর হতে দিলেন না শাহিন শাহ আফ্রিদি। তার বল লাগে ইয়াসির আলির হেলমেট।
ম্যাচের ৩০তম ওভারের পঞ্চম বলটি শট লেন্থে করেছিলেন শাহিন। প্রচণ্ড গতির বলটিকে ডাক করে মাথার ওপর দিয়ে চলে যেতে দিয়েছিলেন ইয়াসির। কিন্তু বল প্রত্যাশা মতো এতটা উপরে উঠল না। শেষ মুহূর্তে বলের লাইন থেকে সরে যেতে পারেননি ইয়াসির। বল গিয়ে সোজা আঘাত হানে রাব্বির হেলমেটে, চোখের কোনের কাছে।
ফিজিও এসে রাব্বিকে শশ্রুষা দেন। এরপর শাহিনের ওভারের শেষ বলটিও মোকাবেলা স্পিনার নৌমান আলির তার পুরো ওভারটাও খেলেন ইয়াসি।
কিন্তু মাথার যন্ত্রণায় আর টিকতে না পেরে শেষ পর্যন্ত মাঠের বাইরেই চলে যেতে বাধ্য হন ইয়াসির।
রিটায়ার্ড হার্ট হয়ে অভিষক টেস্টে দ্বিতীয় ইনিংসে আর নামা হবে না ইয়াসিরের। বিসিবি সূত্রে জানা গেছে, স্ক্যানের জন্য তাকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে হাসপাতালে। এই মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যানের জায়গায় কনকাশন সাব হিসেবে কিপার-ব্যাটসম্যান নুরুল হাসান সোহানকে নিয়েছে বাংলাদেশ।