লাবিব হাসান, পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধি: পটুয়াখালী মহিপুরে সাংবাদিক সহ ২ জনকে কুপিয়ে এবং পিটিয়ে আহত করেছে কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা। আহত ২ জনকে কলাপাড়া হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
শনিবার (২২ মে) রাত ৮ টার দিকে মহিপুরের শেখ রাসেল সেতুর গোড়ায় এ ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন— দৈনিক আলোকিত সকালের -কুয়াকাটা প্রতিনিধি হাসান হাওলাদার (২৫) ও মহিপুরের নুর আলমগীর হাওলাদারের ছেলে রাকিব (২০)
আহত সূত্রে জানাযায়,পূর্ব শত্রুতার যের ধরে মহিপুরের কিশোর গ্যাং প্রধান সাদেক হাওলাদারের ছেলে খলিল (২২) এর নেতৃত্বে হাসিব, নিরব, সুমন খান সহ ২০-২৫ জন কিশোর রাকিব নামের ঐ কিশোরের উপরে হামলা চালায়। এসময় তাকে ছুড়ি দিয়ে হাতে ও কোমরে গুরুত্ব জখম করার হয়।
পরোক্ষনে ঘটনার সংবাদ পেয়ে সংবাদকর্মী হাসান সেখানে ছবি তুলতে গেলে তার উপরেও হামলাকারীরা অতর্কিত হামলা চালায় এবং তার হাতে থাকা মোবাইল ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা চালায় এবং তার সাথে থাকা ২৫ হাজার ৫শত টাকা ছিনিয়ে নেয়। এতে ঐ গনমাধ্যম কর্মীর চোখে ও মাথায় আঘাত লাগে।
স্থানীয় লোকজন তাদের উদ্ধার করে আহত অবস্থায় চিকিৎসার জন্য কলাপাড়া হাসপাতালে পাঠায়।
ছুরির আঘাতে আহত রাকিবের কোমরে ১২ টি সেলাই এবং সংবাদকর্মী হাসানকে প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
মহিপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি আব্দুল মালেক আকন হামলার নিন্দা জানিয়ে বলেন এদের এখনও দমন না করলে পরে বড় ধরনের দূর্ঘটনা ঘটাবে এরা।
মহিপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি মনিরুল ইসলাম বলেন হামলাকারীদের দ্রুত সময়ের মধ্যে আইনের আওতায় না আনলে সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে কর্মসূচি গ্রহণ করা হবে।
সাধারণ জনগণ এবং সুশীল সমাজের লোকজন বলছেন এলাকার কিশোরা ধ্বংসের দিকে ধাবিত হচ্ছে। এসকল কিশোর গ্যাং সদস্যদের সংস্পর্শে এসে এদের দলে না আসলে অন্য কিশোরদের বিভিন্ন হামলার শিকার হতে হয়। এরা বিভিন্ন নেশায় আচ্ছন্ন থাকে। এবং হঠাৎ করেই এরা সংবদ্ধ হয়ে যে কারোরই উপরে হামলা চালাতে দ্বিধা বোধ করেনা। তাই তারা দাবি করেন এইসকল কিশোর গ্যাং দের দমন করতে না পারলে যে কোন সময় এরা এর থেকেও বড় ধরনের ঘটনা ঘটাতে পারে। এদের ভয়ে আতংকিত থাকে সাধারণ মানুষ সবসময়।
উল্লেখ্য দীর্ঘদিন ধরেই মহিপুরে খলিল গ্রুপের প্রধান খলিলের নেতৃত্বে সংবদ্ধ কিশোর গ্যাং গ্রুপ মহিপুর এলাকা দাপিয়ে বেড়াচ্ছে এবং তাদের হামলায় সাবেক ইউপি সদস্য, এইচএসসি পরিক্ষার্থী, এবং সাধারণ স্কুল /কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের উপরে একাধিকবার হামলার চালানো হয়েছেন।
মহিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা খোন্দকার মো:আবুল খায়ের বলেন আমরা খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছি কাউকে পাইনি তবে খুব দ্রুত সময়ের মধ্যেই হামলাকারীদের আমরা আইনের আওতায় আনতে পারবো এবং আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত এই ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রকৃয়া চলমান।