মাগুরার মহম্মদপুরে মসজিদ কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে দুইপক্ষের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সংঘর্ষে উভয়পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়েছেন।
শুক্রবার বিকালে উপজেলার মাছিনাগড়া গ্রামের উত্তরপাড়া বাইতুল নূর জামে মসজিদের কমিটি গঠন কেন্দ্র করে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ৪ জনকে আটক করেছে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, উপজেলার বাবুখালি ইউনিয়নের মাছিনাগড়া গ্রামের উত্তরপাড়া বাইতুল নূর জামে মসজিদের কমিটি গত ১৩ মাস আগে বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়। পরবর্তী কমিটি গঠন করা নিয়ে মাছিনাগড়া গ্রামের আবু বক্কর শেখের ছেলে মো. মোস্তাফিজুর রহমান এবং একই গ্রামের মৃত আজিজ সরদারের ছেলে খয়ের সরদারের বিরোধ চলে আসছিল।
গত ১৯ জুন জুমার নামাজ শেষে ৯৫ জন মুসল্লির স্বাক্ষরিত এবং খয়ের সরদারের উপস্থিতিতে একটি নতুন কমিটি গঠন করা হয়।
এ কমিটিতে মাছিনাগড়া গ্রামের মৃত সুজাউদ্দিন শেখের ছেলে মো. বাবু শেখকে সভাপতি এবং একই গ্রামের আলেক শেখের ছেলে মো. লাবলু মিয়াকে সাধারণ সম্পাদক ঘোষণা করা হয়।
গত শুক্রবার জুমার নামাজ শেষে মুসল্লিরা নতুন কমিটির কাছে সব হিসাব-নিকাশসহ দায়িত্ব বুঝে দিতে মসজিদের ভেতরে মিটিংয়ে বসেন। মিটিং চলাকালীন খয়ের মিয়া ও সাহেব আলী দাঁড়িয়ে উচ্চস্বরে এ কমিটি মানি না বলে মসজিদ থেকে বের হয়ে গালিগালাজ করতে থাকেন।
পরে মসজিদের ভেতরে থাকা সাধারণ মুসল্লিরা তাদের তাড়া করেন। বিষয়টি এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে উভয়পক্ষের সমর্থকরা সংগঠিত হয়ে দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। এতে উভয়পক্ষের ১০ জন আহত হন। পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
সংঘর্ষে গুরুতর আহত অবস্থায় মো. হাসিব মোল্যা, আতিয়ার রহমান, ফজলুর রহমান, খয়ের আলীকে মহম্মদপুর উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও মাগুরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। সংঘর্ষকৃত এলাকা থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে বলে জানা গেছে।
মহম্মদপুর থানার ওসি তারিক বিশ্বাস বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, এ সংঘর্ষের ঘটনায় ৪ জনকে আটক করে মাগুরা জেলা পরিষদ সদস্য আলী আহম্মেদ মৃধা মিনজুর হেফাজতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। তবে বর্তমানে সংঘর্ষকৃত এলাকার পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।