পিরোজপুরের কাউখালীর একটি মসজিদে নেশাজাতীয় দ্রব্য খাইয়ে তাবলিগ জামাতের ১৫ জন সদস্যকে অচেতন করে টাকা-পয়সা হাতিয়ে নেয় দুর্বৃত্তরা।
শুক্রবার (১২ নভেম্বর) ভোরে তাদের অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে কাউখালী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এর মধ্যে ২ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাদের বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
স্থানীয় তাবলিগ জামাত ও হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, গত ৪ নভেম্বর ঢাকার কাকরাইল মসজিদ থেকে ১৬ সদস্যের তাবলিগ জামাতের একটি দল কাউখালীতে আসে। গতকাল তারা গারতা আল-সেতারা জামে মসজিদে অবস্থান করছিলেন। রাতে নামাজ ও যাবতীয় কার্যক্রমে শেষ করে খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পড়েন।
পরে ভোররাতে ফজরের নামাজের সময় কেউ ঘুম থেকে না ওঠায় বিষয়টি স্থানীয়দের জানানো হয়। তারা এসে অজ্ঞান অবস্থায় থাকা ১৫ জনকে কাউখালী হাসপাতালে ভর্তি করেন। এদের মধ্যে সুনামগঞ্জ জেলার আব্দুল হান্নান (৬০) এবং নোয়াখালী জেলার কাসিমপুর গ্রামের তাবারকউল্লাহকে (৬৩) আশঙ্কাজনক অবস্থায় বরিশাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
তাবলিগের একজন সদস্য জানান, গতকাল সন্ধ্যার পরপরই একটি অচেনা লোক এসে তাদের বাড়িঘর জিজ্ঞাসা করে এবং রাতের খাবার তাড়াতাড়ি খেয়ে ঘুমিয়ে পড়তে বলে চলে যায়। তিনি আরও জানান, একজন মুসল্লির পকেট থেকে কিছু টাকা ও একটি মোবাইল নিয়েছে। বাকিরা সুস্থ না হলে কিছু বলা যাবে না।
এ বিষয়ে কাউখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. বনি আমীন জানান, কোনো দুষ্কৃতকারী চুরির উদ্দেশ্যে না নাশকতার জন্য এমন ঘটনা ঘটিয়েছে তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।