দেশের স্বাস্থ্য খাতের উন্নতির জন্য মন্ত্রী-এমপিসহ সব জনপ্রতিনিধি ও আমলাদের নিজ নিজ এলাকায় চিকিৎসা গ্রহণ বাধ্যতামূলক করার দাবি জানিয়েছেন বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল।
শনিবার দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এ দাবি জানান।
‘আজন্ম যোদ্ধা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীসহ করোনায় আক্রান্ত সবার রোগমুক্তি কামনা ও চিকিৎসা পেয়ে বা না পেয়ে এই মহামারীর সময়ে যারা মৃত্যুবরণ করেছে তাদের মাগফিরাত কামনা করে দোয়া মাহফিল এবং চলমান করোনা মহামারী উত্তরণে নাগরিক ভাবনা ও আমাদের ভবিষ্যৎ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় আয়োজন করে ‘রণাঙ্গনের মুক্তিযোদ্ধা’ ও ‘মুক্তিযুদ্ধের প্রজন্ম’ নামের দুটি সংগঠন।
করোনাকালীন দেশের চিকিৎসা-ব্যবস্থার যে ভঙ্গুর পরিস্থিতি পরিলক্ষিত হয়েছে তা থেকে উত্তরণের জন্য সুনির্দিষ্ট প্রস্তাবনায় সাবেক সংসদ সদস্য আলাল বলেন, এই সরকার অনতিবিলম্বে একটা ঘোষণা দিক এবং ক্ষমতাসীন দলের যারা আছেন বা সরকারে যারা আছেন, মন্ত্রীরা তাদের নিজ নিজ জেলার সরকারি সদর হাসপাতালে চিকিৎসা গ্রহণ বাধ্যতামূলক। এমপিরা, বর্তমান আমলের এমপিরা, বিশেষ করে তাদের নিজ নিজ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা করা বাধ্যতামূলক। উপজেলা চেয়ারম্যান, ইউনিয়ন চেয়ারম্যান যারা, তাদের ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নেয়া বাধ্যতামূলক। আর সচিব যারা, তাদের নিজ নিজ জেলার সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নেয়া বাধ্যতামূলক। এটা যদি করতে পারে তাহলে স্বাস্থ্য খাতের উন্নতি সম্ভব। তা না হলে করোনার ভয়বাহ যে থাবা বিস্তার হচ্ছে এটা ধীরে ধীরে কোথায় গিয়ে থামবে তা আমরা নিজেরাও বলতে পারি না। দুর্নীতিগ্রস্তদের ধরে তাদের থেকে টাকা আদায় করে করোনা ফান্ড গঠনের তাগিদ দেন আলাল।
সরকারের কঠোর সমালোচনা করে আলাল বলেন, বর্তমানে যে কোভিড-১৯ একশ বছর পরপর নাকি এই ধরনের দুর্যোগ পৃথিবীতে আসে। ১৭২০ সালে প্লেগ এসেছিল, ১৮২০ সালে কলেরা এসেছিল, ১৯২০ সালে সার্স এসেছিল। আবার ২০২০ সালে কোভিড-১৯ এসেছে। অর্থাৎ এক শতাব্দী পরপর। কিন্তু বাংলাদেশের দুর্ভাগ্য হচ্ছে, স্বাধীনতার ৫০ বছরের মাথায় কোভিড ১৯ এর চেয়ে ভয়াবহ মহামারী আওয়ামী লীগের শাসন। মাত্র ৫০ বছরের মাথায়। একশ বছর পর আসলেও বোঝা যেত ওইটার সঙ্গে যোগাযোগ আছে। এরা ৫০ বছরের মাথায় এসে হাজির হয়েছে। আওয়ামী লীগ হচ্ছে ৫০ বছরের মহামারী, একশ বছরের না।