মধ্যপ্রাচ্য সহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বিদেশগামী কর্মীদের উড়োজাহাজের ভাড়া কমানোর দাবি জানিয়েছে রিক্রুটিং এজেন্সি মালিকরা। বুধবার (৮ ডিসেম্বর) রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টাস ইউনিটিতে সম্মিলিত সমন্বয় পরিষদ বায়রা এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানায়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বায়রার সাবেক অর্থ সম্পাদক ফখরুল ইসলাম বলেন, মধ্যপ্রাচ্যগামী উড়োজাহাজের টিকিটের অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধির কারনে জনশক্তি রপ্তানি কার্যক্রম বিপর্যয়ে মুখে পড়েছে। যে টিকিটের দাম ৪০-৫০ হাজার টাকা ছিলো সেটি এখন ৭৫-৯০ হাজার টাকাতেও পাওয়া যাচ্ছেনা।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, বায়রার সাবেক সভাপতি আবুল বাশার, সাবেক সাধারন সম্পাদক আলী হায়দার চৌধুরী, সাবেক অর্থ সম্পাদক মিজানুর রহমান। এছাড়া আশরাফ উদ্দিন, ফরিদ উদ্দিন মুজুমদার, মুজিবুর রহমান, জামিল হোসাইনসহ বায়রার সাবেক নেতারা।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, অতীতেও সুযোগ বুঝে এমন ঘটনা ঘটেছে এখন সেটির পুনরাবৃত্তি ঘটানো হচ্ছে। তখন থেকেই এই ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে যথাযত কর্তৃপক্ষ দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করা হলেও কোন কার্যকরী পদক্ষেপ না নেওয়ায় ঘটনার পুনরাবৃত্তি হচ্ছে। এয়ারলাইন্সগুলো তাদের ইচ্ছামতো অতিরিক্ত ভাড়া বিদেশগামীদের উপর চাপিয়ে দিচ্ছে। যেখানে আমাদের পাশের দেশ নেপাল, ভারত, শ্রীলংকার তুলনায় বাংলাদেশ থেকে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে উড়োজাহাজ ভাড়া কয়েকগুণ বেশি। ঢাকা থেকে ৬ ঘণ্টার জার্নি রিয়াদের যেতে ভাড়া লাগে ৮০ থেকে ৯০ হাজার টাকা। অথচ ঢাকা থেকে নিউইয়র্ক ২৩ ঘণ্টার জার্নিতে লাগছে মাত্র ৬৫ হাজার টাকা।
এতে আরও বলা হয়, আন্তর্জাতিক রুটে চলাচলকারী যাত্রীদের ১৫ থেকে ২০ শতাংশ বাংলাদেশ বিমানে যাতায়াত করলেও বাকি ৮০ শতাংশ যাত্রী বিদেশি এয়ারলাইন্সে চলাচল করে। দেশীয় বিমান সংস্থা বাংলাদেশ বিমান নিজেদের লাভজনক প্রতিষ্ঠান হিসেবে প্রমান করার জন্য বিভিন্ন সেক্টরে অপ্রয়জনীয় মূল্য বৃদ্ধি করে। ফলে বিদেশি এয়ারলাইন্সগুলো বিমানকে অনুসরণ করে পাল্লা দিয়ে টিকিটের মূল্য বাড়িয়ে দেয়। এই সুযোগে বিদেশি এয়ারলাইন্সগুলো বাংলাদেশ থেকে হাজার হাজার ডলার হাতিয়ে নিচ্ছে। এতে করে অর্থনৈতিক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে আমাদের দেশ। তাই সরকারের কাছে আমাদের স্পষ্ট দাবি, বাংলাদেশ থেকে আন্তর্জাতিক রুটে ফ্লাইট পরিচালনার ক্ষেত্রে কঠোর নীতিমালা প্রনয়নের মাধ্যমে অবিলম্বে উড়োজাহাজের টিকিটের মূল্য কমিয়ে বিদেশগামী কর্মীদের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে নির্ধারণ করতে হবে।