ভ্রমণের জন্য উন্মুক্ত হচ্ছে ইউরোপিয় ইউনিয়নের (ইইউ) সীমানা। আগামী ১ জুলাই থেকে ৫৪টি দেশের নাগরিকরা সেনজেনভুক্ত দেশগুলোতে প্রবেশ করতে পারবেন। ইউরোপিয় ইউনিয়নের মুক্ত পাসপোর্ট এলাকা সেনজেন অঞ্চল হিসেবে পরিচিত। বেশিরভাগ ইউরোপিয় দেশ এই তালিকায় অন্তর্ভূক্ত। এর সদস্য দেশের নাগরিকেরা সেনজেন এলাকায় মুক্তভাবে ভ্রমণ করতে পারেন। অর্থাৎ এই এলাকায় কোনো সীমানা নিয়ন্ত্রণ নেই।
ইইউ কর্মকর্তারা বলেছেন, আগামী ১ জুলাই থেকে নতুন আদেশ কার্যকর হবে। তারা জানিয়েছেন, মহামারী সংক্রান্ত পরিস্থিতি ও প্রতিটি দেশে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে ভ্রমণের সময় নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থায় দক্ষতা রয়েছে কিনা তা অনুসারে দেশের তালিকা আপডেট করা হবে। তবে এরই মধ্যে যে দেশগুলোর নাগরিকদের ইউরোপে ভ্রমণের অনুমতি দেয়া হয়েছে তার একটি তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে।
তালিকার মধ্যে রয়েছে, আলবেনিয়া, আলজেরিয়া, এ্যান্ডোরা, অ্যাঙ্গোলা, অস্ট্রেলিয়া, বাহামাস, ভুটান, বসনিয়া ও হার্জেগোভিনা, কানাডা, চীন, কোস্টারিকা, কুবা, ডেমোক্রেটিক পিপলস রিপাবলিক অফ কোরিয়া, ডোমিনিকা, মিশর, ইথিওপিয়া, জর্জিয়া, গায়ানা, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, জ্যামাইকা, জাপান, কাজাকস্থান, কসোভো, লেবানন, মরিশাস, মোনাকো, মঙ্গোলিয়া, মন্টিনিগ্রো, মরক্কো, মোজাম্বিক, মায়ানমার, নামিবিয়া, নিউজিল্যান্ড, নিক্যার্যাগুয়া, পালাউ, প্যারাগুয়ে, রুয়ান্ডা, সেন্ট লুসিয়া, সার্বিয়া, দক্ষিণ কোরিয়া, তাজিকস্থান, থাইল্যান্ড, তিউনিসিয়া, তুরস্ক, তুর্কমেনিয়া, উগান্ডা, ইউক্রেইন, উরুগুয়ে, উজবেকিস্তান, ভ্যাটিকান সিটি, ভেনেজুয়েলা, ভিয়েতনাম, জাম্বিয়া।
ইউরোপীয় কমিশন (ইসি) গত ১১ জুন একটি আবেদনে ১৫ জুন থেকে সেনজেন সীমানা উন্মুক্ত করে দেয়ার সুপারিশ করেছিল। যাতে ইউরোপিয়রা মহামারীর পূর্ব অবস্থার মত এই অঞ্চলে নির্বিঘ্নে ভ্রমণ করতে পারে।
ইসির ওই সুপারিশে সদস্য দেশগুলোর মত তৃতীয় রাষ্ট্রের নাগরিকদেরও ১ জুলাই থেকে ধীরে ধীরে ইউরোপে প্রবেশের সুযোগ দেয়ার কথা বলা হয়ে ছিল। সূত্র : গালফ নিউজ