করোনাভাইরাস মহামারিতে সবচেয়ে বেশি শোচনীয় অবস্থা হয় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের। করোনা ঠেকাতে ২০ মাস ধরে আন্তর্জাতিক সীমান্ত বন্ধ ছিল দেশটির। এবার সীমান্ত খুলে দেওয়া হচ্ছে স্থানীয় সময় সোমবার ( ৮ নভেম্বর)। ফলে টিকার ডোজ সম্পন্নকারী যে কোনো ভ্রমণকারীর যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে আর বাধা থাকছে না।
করোনা মহামারির প্রাদুর্ভাবের পর সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সীমান্ত বন্ধের সেই নির্দেশনা দিয়েছিলেন। এর প্রভাব পড়েছিল যুক্তরাষ্ট্রের অভিবাসীদের ওপর। ৩০টি দেশের নাগরিক, যাদের মধ্যে যুক্তরাজ্য ও ইউরোপীয় ইউনিয়নভূক্ত দেশের নাগরিকরাও রয়েছেন, তারা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েন পরিবার ও স্বজনদের কাছ থেকে। স্থবির হয়ে পড়ে যুক্তরাষ্ট্রের পর্যটন খাত।
এয়ারলাইনস কর্তৃপক্ষের প্রত্যাশা, নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ায় বাড়বে ভ্রমণকারীদের সংখ্যা, যারা পুরোপুরি করোনার টিকা নিয়েছেন এবং নিয়মিত টেস্ট করেন।
প্যারিসভিত্তিক ট্রাভেল এজেন্সি জেটসেট ভয়েজের প্রধান জেরোম থম্যান বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে এমন উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে বলেন, ভালো লাগছে, ভালো লাগছে! তারা বুকিংয়ে অবিশ্বাস্য সাড়া পেয়েছেন।