করোনাভাইরাস প্রতিরোধের একটি ভ্যাকসিন এই বছরের শেষ নাগাদ প্রস্তুত হয়ে যেতে পারে বলে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। মঙ্গলবার (৬ অক্টোবর) সংস্থাটির মহাপরিচালক টেড্রোস আডানোম গেব্রিয়াসিস এই সম্ভাবনার কথা বললেও বিস্তারিত আর কিছু জানাননি। তবে ভ্যাকসিন একবার সহজলভ্য হয়ে গেলে তা সমানভাবে বন্টন নিশ্চিত করতে সংহতি ও রাজনৈতিক প্রতিশ্রুতির জোরালো করতে নেতাদের আহ্বান জানান তিনি। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
২০২১ সাল নাগাদ দুইশ’ কোটি ডোজ ভ্যাকসিন বিতরণের লক্ষ্য নিয়ে ডব্লিউএইচও’র নেতৃত্বে গঠিত হয়েছে কোভ্যাক্স গ্লোবাল ভ্যাকসিন ফ্যাসিলিটি। এই ফ্যাসিলিটির বিবেচনায় রয়েছে করোনাভাইরাসের নয়টি পরীক্ষামূলক ভ্যাকসিন। এখন পর্যন্ত এই ফ্যাসিলিটিতে যুক্ত হয়েছে ১৬৮টি দেশ। তবে এদের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া কিংবা চীনও নেই। ট্রাম্প প্রশাসন বলছে ভ্যাকসিন প্রাপ্তি নিশ্চিত করতে উৎপাদনকারীদের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক চুক্তির ওপর নির্ভর করতে চায় তারা।
এমন অবস্থায় করোনা মহামারি মোকাবিলায় বৈশ্বিক তৎপরতা খতিয়ে দেখতে বৈঠকে বসে ডব্লিউএইচও’র নির্বাহী বোর্ড। বৈঠকের সমাপনী ভাষণে ডব্লিউএইচও মহাপরিচালক টেড্রোস আডানোম গেব্রিয়াসিস বলেন, ‘আমাদের ভ্যাকসিন প্রয়োজন আর আশা রয়েছে যে এই বছরের শেষ নাগাদ আমরা হয়তো একটা ভ্যাকসিন পেয়ে যাবো। আশা আছে।’
টেড্রোস আডানোম গেব্রিয়াসিস বলেন, ‘ভ্যাকসিন এবং অন্য যেসব পণ্য পাইপলাইনে আছে সেগুলোর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উপকরণ হলো আমাদের নেতাদের কাছ থেকে রাজনৈতিক প্রতিশ্রুতি বিশেষ করে ভ্যাকসিনের সমবন্টনের জন্য।’ তিনি বলেন, ‘আমাদের একে অন্যকে প্রয়োজন, সংহতি প্রয়োজন আর ভাইরাস মোকাবিলার লড়াইয়ে আমাদের সমস্ত শক্তি ব্যবহারের প্রয়োজন।’