দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় বেসামরিক প্রশাসনকে সহযোগিতা দিতে ভোটগ্রহণের চার দিন আগে মাঠে নেমেছেন সশস্ত্রবাহিনীর সদস্যরা।
বুধবার সকাল ৮টা থেকে ঢাকা ক্যান্টনমেন্টের জিয়া কলোনী ও সৈনিক ক্লাব থেকে সেনা সদস্যরা মাঠে নামেন; মহাখালী, নাবিস্কো ও তিব্বত হয়ে তাদের গাড়িবহর ছুটতে দেখা যায়। সেনাবাহিনীর গাড়ি দেখা যায় মালিবাগ ও খিলগাঁ এলাকাতেও।১০ জানুয়ারি পর্যন্ত বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তা করতে তারা মাঠে থাকবেন।
আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর-আইএসপিআর মঙ্গলবার এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা প্রতিটি জেলা/উপজেলা/মেট্রোপলিটন এলাকার ‘নোডাল পয়েন্ট’ ও অন্যান্য সুবিধাজনক স্থানে অবস্থান করবে। সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং অফিসারের অনুরোধক্রমে ও সমন্বয়ের মাধ্যমে বাহিনীসমূহ এলাকাভিত্তিক মোতায়েন সম্পন্ন করবে।
“উপকূলীয় দুটি জেলাসহ (ভোলা ও বরগুনা) ১৯টি উপজেলায় দায়িত্ব পালন করবে নৌবাহিনী। সমতলে সীমান্তবর্তী ৪৫টি উপজেলায় বিজিবি এককভাবে দায়িত্ব পালন করবে। এছাড়া সীমান্তবর্তী ৪৭টি উপজেলায় সেনাবাহিনী বিজিবির সঙ্গে এবং উপকূলীয় চারটি উপজেলায় কোস্ট গার্ডের সঙ্গে সমন্বয়ের মাধ্যমে যৌথভাবে দায়িত্ব পালন করবে।”
অপরদিকে বাংলাদেশ বিমান বাহিনী পার্বত্য অঞ্চলের ভোটকেন্দ্রগুলোতে প্রয়োজনীয় হেলিকপ্টার সহায়তা দেবে। জরুরি প্রয়োজনে বিমান বাহিনীর প্রয়োজনীয় সংখ্যক হেলিকপ্টার প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
সশস্ত্র বাহিনী বিভাগে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়/বিভাগ ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে যৌথ সমন্বয় সেল স্থাপন করা হয়েছে, যা ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত কার্যকর থাকবে।
আগামী ৭ জানুয়ারি হবে ভোটগ্রহণ। ভোটের আগের চারদিন, ভোটের দিন ও পরের তিন দিন পর্যন্ত মাঠে কাজ করবে সশস্ত্র বাহিনী।