অভিবাসনপ্রত্যাশীদের নিয়ে লিবিয়া থেকে ইউরোপ যাওয়ার পথে আবারও ভূমধ্যসাগরে নৌকাডুবি হয়েছে। মার্কিন বার্তা সংস্থা এপি জানিয়েছে, দুর্ঘটনার পর বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশের ২২ জনকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে ৩ জনের। আরও ১৩ জন নিখোঁজ রয়েছে। তারা বেঁচে নেই বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ত্রিপোলির পূর্বাঞ্চলের এলাকা জিলটেন থেকে গত বুধবার সন্ধ্যায় নৌকাটি যাত্রা শুরু করে। দেশটির কোস্ট গার্ড জানিয়েছে, তারা উদ্ধার কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছেন।
এপির তথ্য অনুযায়ী, লিবিয়ার জেলেরা বৃহস্পতিবার নৌকাটিকে দেখতে পান। উদ্ধার হওয়া ২২ জনের মধ্যে বাংলাদেশ, মিশর, সিরিয়া, সোমালিয়া ও ঘানার নাগরিকরা রয়েছেন। আর যে ৩টি মরদেহ উদ্ধার হয়েছে তার মধ্যে একজন সিরীয় পুরুষ ও একজন সিরীয় নারী রয়েছেন। অন্যজনের পরিচয় জানা যায়নি।
ওয়াশিংটন পোস্টের তথ্য অনুযায়ী, তিনটি লাশ পানিতে ভাসমান অবস্থায় পাওয়া গেছে। এর মধ্যে এক পুরুষ এবং এক নারীর বাড়ি সিরিয়ায়।
লিবিয়ার সাবেক শাসক গাদ্দাফির পতনের পর এই দেশ দিয়ে অনেক অভিবাসী ইউরোপে যাওয়া শুরু করেন। পাচারকারীরা প্রায়ই ঝুঁকিপূর্ণ নৌকায় মানুষদের সাগরে ভাসায়। জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৪ সালের পর থেকে এখন পর্যন্ত প্রায় ২০ হাজার মানুষ মারা গেছে এই অঞ্চলে।‘এই দিনগুলোতে অনেক নৌকা লিবিয়া ছেড়ে যাচ্ছে,’ জানিয়ে লিবিয়ার নৌ-কর্মকর্তা মাসউদ আবদাল সামাদ বলেন, ‘শরৎ খুব কঠিন মৌসুম। বাতাস শুরু হলে নদীতে প্রাণঘাতী অবস্থার সৃষ্টি হয়’।