মানসিক ভারসাম্যহীন তৈয়ব পেয়াদার (৭০) কাছে থাকা ভিক্ষার টাকা ছিনিয়ে নিতেই তাকে খুন করা হয়। রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে চাঞ্চল্যকর এ হত্যাকাণ্ডে জড়িত সাঈদ ফকির বুধবার (৩ আগস্ট) রাতে গ্রেফতার হওয়ার পর পুলিশের কাছে এ স্বীকারোক্তি দেয়।
গ্রেফতারকৃত সাঈদ ফকির গোয়ালন্দ পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ডের নছরউদ্দিন সরদারপাড়ার চেনেরউদ্দিন ফকিরের ছেলে।
গত ৭ মে গোয়ালন্দ শহরের এফকে টেকনিক্যাল অ্যান্ড বিজনেস ম্যানেজমেন্ট কলেজের বারান্দা থেকে মানসিক ভারসাম্যহীন তৈয়ব পেয়াদার রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় নিহতের ছেলে মামুন পেয়াদা অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে পরদিন গোয়ালন্দ ঘাট থানায় এসে মামলা দায়ের করেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, খুন হওয়া তৈয়ব পেয়াদার বাড়ি ঝালকাঠি জেলার নলছটি উপজেলার দক্ষিণ ডোবরা গ্রামে। ঘটনার প্রায় ৩ মাস আগে তিনি মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে বাড়ি থেকে নিরুদ্দেশ হন। পরিবারের লোকজন বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করেও তার সন্ধান পাচ্ছিলেন না। তবে খুন হওয়ার পর পুলিশের মাধ্যমে তারা বিষয়টি জানতে পারেন।
গোয়ালন্দ ঘাট থানার ওসি স্বপন কুমার মজুমদার জানান, মানসিক ভারসাম্যহীন ব্যক্তি খুনের ঘটনায় মামলা দায়েরের পর ঘটনা তদন্তে পুলিশ মাঠে নামে এবং এ হত্যাকাণ্ডে সাঈদ ফকিরের জড়িত থাকার বিষয়টি নিশ্চিত হয়। পরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বুধবার রাতে উপজেলার মইজউদ্দিন মণ্ডলপাড়া এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। পরে সাঈদ ফকিরের স্বীকারোক্তি মতে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ধারালো চাকুটি শহরের কলেজপাড়ার একটি ঝোপের মধ্য থেকে উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামি পুলিশকে জানায়, মানসিক ভারসাম্যহীন তৈয়ব পেয়াদার কাছে থাকা টাকা নেওয়ার সময় বাধা দেওয়ার তাকে চাকু দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। যাওয়ার সময় ওই স্থানে চাকুটি ছুড়ে ফেলে দেয়া হয়। আসামিকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে বলেও ওসি জানান।