গত কয়েক দিন ধরেই ভারত ও চীন সীমান্তে উত্তেজনা চলছে। উত্তেজনার মধ্যে লাদাখ সীমান্তের কাছে চীনের বিমানঘাঁটি স্থাপনের খবর পাওয়া যাচ্ছে।
শুধু তাই নয়, বিমানঘাঁটিতে যুদ্ধবিমানও দেখা গেছে বলে এনডিটিভির এক বিশেষ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
ভারতীয় এই সংবাদমাধ্যম জানায়, উপগ্রহ থেকে দুটি ছবি পাওয়া গেছে। দুটি ছবির একটি একটি ৬ এপ্রিল তোলা, অন্যটি ২১ মে-র।
গোয়েন্দা সংস্থা ‘ডিট্রেসফা’ সূত্রে গারি গুনসা বিমানবন্দরের দুটি ছবি সামনে এসেছে।
উপগ্রহ থেকে প্রাপ্ত ছবিতে দেখা গেছে, প্যানগং লেক থেকে ২০০ কিমি দূরে চীনা বিমানঘাঁটিতে ব্যাপক হারে নির্মাণ কাজ চলছে। মনে করা হচ্ছে, সেখানে যুদ্ধবিমান বা হেলিকপ্টার রাখার ঘাঁটি হচ্ছে।
এছাড়া আরও একটি ছবি সামনে এসেছে। সেই তৃতীয় ছবিতে কাছ থেকে বিমানবন্দরটিকে দেখা যাচ্ছে। যার প্রধান রাস্তায় চারটি যুদ্ধবিমানকে পাশাপাশি দেখা যাচ্ছে।
বিমানগুলো চীনের ‘পিপলস লিবারেশন আর্মি এয়ার ফোর্স’-এর জে-১১ বা জে-১৬ যুদ্ধবিমান বলেও উল্লেখ করা হয় প্রতিবেদনে।
ওই ছবির ক্যাপশন থেকে জানা যাচ্ছে, ২০১৯-এর ডিসেম্বরে ওখানে প্রথম ওই যুদ্ধবিমানগুলো মোতায়েন করা হয়েছে।
এনডিটিভির ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, গারি গুনসা বিমানবন্দরের অবস্থান খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ১৪ হাজার ২২ ফুট উঁচুতে অবস্থিত এই বন্দরটি সেনা ও যাত্রীবাহী বিমান দুইয়ের উড়ানের জন্যই ব্যবহৃত হয়।
প্রকৃত সীমান্তরেখার খুব কাছে অবস্থিত এই বিমানবন্দরের একটি সীমাবদ্ধতাও রয়েছে। এতটা উঁচু থেকে এখানে কেবল সীমিত যুদ্ধ সামগ্রী ও জ্বালানিই বহন করা সম্ভব।
প্রসঙ্গত গত ৫ ও ৬ মে প্যানগং লেকে ভারতীয় ও চীনা সেনার মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এরপরপ সেখানে চীন শিবির তৈরি ও অস্ত্র মোতায়েন করেছে বলে ভারত দাবি করে।
পূর্ব লাদাখে নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর প্যাংগং ও গালোয়ান উপত্যকায় সেনাসদস্য বাড়িয়েছে দুই দেশ।
চীন বাংকার তৈরি করেছে। অস্থায়ী পরিকাঠামোও তৈরি করেছে। সেখানে তারা দুই থেকে আড়াই হাজার সেনা বাড়িয়েছে। ভারতও একইভাবে সেনার সংখ্যা বাড়িয়েছে। এ নিয়ে ভারত ও চীন সীমান্তে উত্তেজনা বিরাজ করছে।
২০১৭ সালে দোকলামের পরও এ ধরনের পরিস্থিতি সীমান্তে তৈরি হয়নি। তবে এবার পূর্ব লাদাখের পরিস্থিতি ভিন্ন।