তিমির বনিক, মৌলভীবাজার প্রতিনিধি: করোনা সংক্রমণ শুরু হওয়ায় ২০২০ সালের ১৭ মার্চ থেকে মৌলভীবাজারের কুলাউড়ার চাতলাপুর স্থল অভিবাসন কেন্দ্র দিয়ে ভারত-বাংলাদেশে যাত্রী পারাপার বন্ধ হয়েছিল।
করোনাকালীণ সময়ে দুই দেশের মধ্যে এ পথে আমদানি রপ্তানি কার্যক্রম শুরু হলেও দুই বছর পর গত ২ মাস আগে ভারত চাতলাপুর অভিবাসনন কেন্দ্র দিয়ে যাত্রী পারাপার শুরু করতে চাইলেও বাংলাদেশের পাসপোর্ট এন্ড ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ এ পথে ভারত-বাংলাদেশে যাত্রী পারাপার করার অনুমতি দেয়নি।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের সু-রক্ষা সেবা বিভাগ বহির্গমন -১ এর রোববার ২৬ জুনের এক সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সোমবার(২৭জুন) থেকে চাতলাপুর অভিবাসন কেন্দ্র দিয়ে ভারত-বাংলাদেশের যাত্রী পারাপারের অনুমতি দিয়েছে।
স্বারাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের সু-রক্ষা বিভাগের উপ সচিব তরফদার মাহমুদুর রহমানের স্মারক ৫৮.০০.০০০০.০৪১.২১.০০৩.১২.১০৬ তারিখ ২৬ জুন ২০২২ স্বাক্ষরিত পত্রে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পত্র সংখ্যা ১৯.০০.০০০০.৪১১.৪১.২৬৪.২০-৬৩৭: তারিখ ৯ জুন ২০২২ মূলে ও এসবির পত্র সংখ্যা ৪৪.০১.০০০০.০৮৬.৪১.০০১.২০২২.৩৯ তারিখ ২৩ মে ২০২২ মূলে বাংলাদেশে বন্ধ থাকা ১১টি স্থল অভিবাসন কেন্দ্রের সাথে চাতলাপুর স্থল অভিবাসন কেন্দ্রেও ভারত-বাংলাদেশে যাত্রী পারাপার চালুর সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
পত্রে উল্লেখ করা হয়, বিশ্বে বর্তমানে কোভিট-১৯ পরিস্থিতি অনেকটা স্বাভাবিক হওয়ায় ব্যবসা-বাণিজ্য,পর্যটন ইত্যাদিও সুযোগ পূনরায় চালু করার স্বার্তে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ পূর্বক দীর্ঘদিন বন্ধ থাকা শেরপুর জেলার নাকুগাঁও, সিলেটের জকিগঞ্জ, মৌলভীবাজারের চাতলাপুর,জুড়ি, কুরমাঘাট,হবিগঞ্জের বাল্লা,কুমিল্লার বিবির বাজার,ফেনীর বিলোনিয়া, ঢাকা সেনানিবাস রেলওয়ে অভিবাসন কেন্দ্র,কুড়িগ্রামের রৌমারী ও যাশোরের বেনাপোল রেলওয়ে অভিবাসন কেন্দ্র চালুর অনুমতি প্রদান করা হয়। সোমবার সকাল থেকে এসব ১১টি স্থল অভিবাসন কেন্দ্রে যাত্রী পারাপার শুরু হয়।
সোমবার বেলা ৩টায় চাতলাপুর স্থল অভিবাসন কেন্দ্রে গেলে অভিবাসন কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক সামিউল ইসলাম বলেন, রোববার রাতেই মন্ত্রী পরিষদ থেকে তিনি এ পথে দুই দেশের যাত্রী পারাপার চালু করার অনুমতি পেয়েছেন। তিনি সব ধরণের প্রস্তুতিও নিয়েছেন। তবে সোমবার কোন যাত্রী ভারতেও যায়নি আবার ভারত থেকে কোন যাত্রী বাংলাদেশেও আসেনি।
চাতলাপুর অভিবাসন কেন্দ্র এলাকায় দায়িত্ব পালনরত বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের সদস্যরা বলেন, শুনেছেন এ পথে যাত্রী পারাপারের অনুমতি হয়েছে। অভিবাসন বিভাগ প্রয়োজনীয় আনুষ্ঠানকিতা শেষে যাত্রীদের ছাড়লে বিজিবি তাদের সংক্ষিপ্ত আনুষ্ঠানিকতা করে যাত্রীদের ছেড়ে দিবে।
চাতলাপুর স্থল শুল্ক স্টেশনের রাজস্ব কর্মকর্তা রেজাউল কবির কাজল, বলেন, যাত্রী পারাপারের শুরুর নির্দেশনা পত্র পেয়েছেন। যাত্রীরা ভিসা নিয়ে আসলে শুল্ক বিভাগের কিছু আনুষ্ঠানিকতা করে পরে অভিবাসন কেন্দ্রে পাঠিয়ে দেওয়া হবে।