মো. রাসেল ইসলাম,যশোর জেলা প্রতিনিধি: বিভিন্ন মেয়াদে ভারতে জেল খেটে বেনাপোল ইমিগ্রেশন দিয়ে দেশে ফিরেছে ১১ জন কিশোরী ৮ জন কিশোর ও একজন শিশু।
বৃহস্পতিবার (৭ অক্টোবর) বিকেলে ভারতের পেট্রাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশ বেনাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশের কাছে তাদেরকে হস্তান্তর করে। এসময় কোলকাতায় নিযুক্ত বাংলাদেশ দূতাবাসের প্রথম সেক্রেটারী শারমীন সুলতানা স্মৃতি উপস্থিত ছিলেন।
ফেরত আসা হলেন নড়াইল জেলার ইকবাল ফকিরের ছেলে হাসিব ফাকির (১৭), মাসুদ মোল্যার ছেলে সবুজ মোল্যা (১০) ও সুমন মোল্যা (১৪), নারানগঞ্জ জেলার সেলিম মিয়ার ছেলে সুইটি ইসলাম (১৭), শরিফুল ইসলাম এর মেয়ে সুমি খাতুন ( ১৪), সুইট খাতুন (১৪), অপর্না (১৬) রাফেজা খাতুন (২০), রাবেয়া খাতুন (২১), বাগেরহাট জেলার জাবেদ আলী (১৫), হাসান মাহমুদ (১৩) খুলনা জেলার সাজিদ হোসেন (১৪), লক্ষীপুর জেলার আদনান (১৫), নোয়াখালী জেলার বাপ্পি হাসান (১৩), যশোর জেলার নুর খাতুন (১৪), মুক্তা মোল্যা (১৩), ইষিতা (১৩), শেরপুর জেলার মৌসুমি খাতুন (১৭), সুমাইয়া খাতুন (২১), সাতক্ষীরা জেলার ফাতেমা খাতুন (২১), বরিশাল জেলার মেঘলা রায় (২১) ।
বেনাপোল চেকপোষ্ট ইমিগ্রেশনের অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মাদ রাজু বলেন, এরা ভালো কাজের প্রলভনে পড়ে হয়ত সীমান্ত পথে পাচার হয়েছিল। এরপর সেদেশের পুলিশের কাছে আটক হয়ে জেল খানায় যায়। দুই দেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয় চিঠি চালাচালির এক পর্যায়ে তারা বিশেষ ট্রাভেল পারমিটের মাধ্যেমে দেশে ফেরত আসে।
যশোর জাস্টিস এন্ড কেয়ার এর ফিল্ড কর্মকর্তা রোকেয়া বেগম ও জাতিয় মহিলা আইনজীবি সমিতির যশোর জেলা শাখার রেখা রানী বলেন এরা ভারতে পাচার হয়ে পুলিশের কাছে আটক হয়ে আদালতের মাধ্যেমে জেলে যায় । জেল থেকে নদীয়া জেলার করিমপুর নামক একটি শেল্টার হোম ও কোলকাতার একটি শেল্টারহোম তাদের ছাড়িয়ে এনে নিজেদের শেল্টার হোমে রাখে। এরপর আমরা সরকারের মাধ্যেমে তাদের দেশে বিশ্ষে ট্রাভেল পারমিটের মাধ্যেমে ফিরিয়ে আনি। যশোর নিয়ে এদের আমাদের হোমে রেখে পরিবারের সাথে যোগাযোগ করে হস্তান্তর করা হবে।
বেনাপোল পোর্ট থানার অফিসার ইনচার্জ মো. মামুন খান বলেন, ফেরত আসাদের থানার আনুষ্ঠানিকতা শেষে বেসরকারী এনজিও জাতীয় মহিলা আইনজীবি সমিতি ও জাষ্টিস এন্ড কেয়ার এর কাছে হস্তান্তর করা হবে।