আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ রাস্তা নির্মাণ নিয়ে ভারতের সঙ্গে কূটনৈতিক বিরোধে জড়ানোর পর বিতর্কিত সেই ভূখণ্ডকে নিজেদের মানচিত্রে অন্তর্ভুক্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নেপাল। মঙ্গলবার মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর নেপালের অর্থমন্ত্রী যুবরাহ খাটিওয়াদা জানিয়েছেন কালাপানি আর লিপুলেখকে নিজেদের ভূখণ্ড চিহ্নিত করে অনতিবিলম্বে মানচিত্র প্রকাশ করা হবে। আর তা স্কুল-কলেজের শিক্ষাক্রম এবং সরকারি সব কাজে ব্যবহার করা হবে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এই খবর জানিয়েছে।
চীনের তিব্বত অঞ্চল এবং ভারতের উত্তরাখণ্ডের সীমানায় হিমালয় পার্বত্য এলাকায় অবস্থিত লিপুলেখ পাস। এর দক্ষিণাঞ্চল নিজেদের বলে দাবি করে থাকে নেপাল। কালাপানি নামে পরিচিত ওই এলাকা নিয়ন্ত্রণ করে ভারত। হিমালয়ের ১৭ হাজার ফুট উচ্চতায় সম্প্রতি ৮০ কিলোমিটার দীর্ঘ একটি রাস্তা নির্মাণের উদ্বোধন কাজ করেন ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং। ১৮১৬ সালের এক চুক্তির অধীনে লিপুলেখ পাসের অংশ বিশেষ দাবি করে থাকে নেপাল।
ওই রাস্তা নির্মাণ শুরুর পরই ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানায় নেপাল। এরই জেরে গত ১১ মে কাঠমান্ডুতে নিযুক্ত ভারতীয় রাষ্ট্রদূতকে তলব করে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এরপর ভারতের সেনাপ্রধান এক ভার্চুয়াল বৈঠকে অংশ নিয়ে মন্তব্য করেন চীনের ইন্ধনেই রাস্তা নির্মাণ নিয়ে প্রতিবাদে সরব হয়েছে নেপাল।
মঙ্গলবার মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর নেপালের অর্থমন্ত্রী যুবরাহ খাটিওয়াদা জানান, নতুন মানচিত্রের প্রস্তাব করেছেন ভূমি ব্যবস্থাপনা সমবায় এবং দারিদ্র বিমোচন বিষয়ক মন্ত্রী পদ্মা আরিয়াল। তার এই প্রস্তাবে সম্মতি দেয় মন্ত্রিসভা।
নেপাল ও ভারতের মধ্যে ১৬ হাজার কিলোমিটারের বেশি উন্মুক্ত সীমান্ত রয়েছে। এর বেশ কিছু এলাকা নিয়ে দুই দেশের মধ্যেই বিরোধ রয়েছে। বিরোধের কেন্দ্রে থাকা ভূখণ্ডগুলোর মধ্যে কালাপানি, লিপুলেখ এবং সুস্তা অন্যতম। এসব ইস্যুতে বেশ কিছুদিন ধরে দুটি দেশ আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী পর্যায়ের সীমান্ত সমস্যা সমাধানে সচিব পর্যায়ের বৈঠকের বিষয়ে সম্মতি আসলেও এখন পর্যন্ত সে ধরনের কোনও বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়নি।