আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ ভারতে করোনাভাইরাস পরিস্তিতিতে লক ডাউনের কারনে দু’মাসের দীর্ঘ অপেক্ষা। কেউ হয়তো কাজে এসে বাড়ি ফিরতে পারেননি। কেউ আবার বাড়ি এসেছিলেন কাজের জায়গায় ফিরতে পারেননি। কেউ কেউ হস্টেলেই আটকে ছিলেন। ঘরোয়া বিমান চালু হতেই ঘরে ফেরার স্বপ্ন দেখেছিলেন ওঁরা। কিন্তু স্বপ্নও যে ভাঙতে পারে, তা বোধহয় ঘুণাক্ষরেও ভাবতে পারেননি।
সোমবার সকালে বিমানবন্দরে এসে জানতে পারলেন বিমান বাতিল হয়েছে। ফলে কবে যে ফিরতে পারবেন তাও যেমন তাঁরা জানেন না, তেমনই সেই টিকিটের টাকাও আদৌ ফেরত পাবেন কি না তাও এখনও অজানা। এদিন সকাল থেকে ভারতের দিল্লি, মুম্বইয়ের মতো একাধিক বিমানবন্দরে এই ছবি দেখা গিয়েছে। শুধুমাত্র দিল্লি বিমানবন্দর থেকেই শেষ মুহূর্তে ৮২টি বিমান যাত্রা বাতিল হয়েছে।
করোনা সংক্রমণের দাপটে গত দুমাস ধরে বন্ধ ছিল ঘরোয়া বিমান পরিসেবা। শেষপর্যন্ত গত সপ্তাহে কেন্দ্রীয় অসামরিক বিমানমন্ত্রী হরদীপ সিং পুরী জানান, ২৫ মে থেকে ঘরোয়া বিমান পরিসেবা চালু হচ্ছে। তবে কঠোরভাবে সামাজিক দূরত্ব বিধি পালন করা হবে। কিন্তু বেঁকে বসে কয়েকটি রাজ্য। করোনা সংক্রমণে জেরবার রাজ্যগুলি জানিয়ে দেয়, তাঁদের রাজ্যের বিমানবন্দর গুলি এখনও বিমান পরিসেবা চালু করতে সক্ষম নয়। ফলে রবিবার গভীর রাত পর্যন্ত এনিয়ে দড়ি টানাটানি চলে।
এদিকে, গন্তব্যে ফেরার জন্য তো আগেভাগেই বিমানের টিকিট কেটে বসেছিলেন যাত্রীরা। বিমান সংস্থাগুলির বিরুদ্ধে অভিযোগ, বিমান যাত্রা বাতিলের কথা যাত্রীগের জানায়নি তাঁরা। ফলে সোমবার সকাল থেকে বিমানবন্দরে এসে ভিড় জমিয়েছিলেন যাত্রীরা। ওয়েব চেক-ইনের সময় অনেকে জানতে পারেন তাংদের বিমান বাতিল করা হচ্ছে। এ নিয়ে দিল্লির ইন্দিরা গান্ধী আম্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তিন নম্বর টার্মিনাসে রীতিমতো বিক্ষোভ শুরু করে দিয়েছিলেন যাত্রীরা। তবে শুধু দিল্লি নয়, একই ছবি দেখা গিয়েছে মুম্বই, চেন্নাই, গুয়াহাটির মতো বিমানবন্দরগুলিতেও।
মুম্বই বিমানবন্দরের বাইরে বহু যাত্রীক্ লাগেজ নিয়ে বসে থাকতে দেখা যায়। তাঁদের কথায়, পরের বিমান কখন পাব, আদৌ ফ্রতে পারব কি না জানি না। বিমানবন্দজরে আসার পর জানতে পারছি উড়ান বাতিল হয়েছে। একই চিন্তা নিয়ে দিল্লি বিমানবন্দর ছেড়েছেন বহু যাত্রী। ফলে দুমাস পর ঘরে ফেরার স্বপ্ন এদিনও অধরা রয়ে গেল ওঁদের।