ভারতের পাঞ্জাবে একটি কারখানায় বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। ওই কারখানায় গ্যাস লিকেজের কারণে ঘটে এ বিস্ফোরণ। এতে এখন পর্যন্ত দুই শিশুসহ নিহত হয়েছেন ১১জন। আহত হয়েছেন আরও অনেকে। তাদের মধ্যে সংকটাপন্ন অবস্থায় আরও ১১ শ্রমিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এখনও অনেক মানুষ কারখানার মধ্যে আটকা আছে বলে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন উদ্ধারকারীরা। খবর হিন্দুস্তান টাইমসের।
রোববার (৩০ এপ্রিল) স্থানীয় সময় সকাল ৭টা ১৫মিনিটে পাঞ্জাবের লুধিয়ানার গিয়াসপুরার কাছে সুয়া রোডে অবস্থিত ‘গোয়াল মিল্ক প্ল্যান্ট’ নামের কারখানায় হয় দুর্ঘটনা। সেখান থেকে ডেইরি পণ্য উৎপাদিত হয়।
জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বাহিনী জানিয়েছে, সকাল সোয়া ৭টা নাগাদ ঘটে জোরালো বিস্ফোরণ। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয় চারপাশের অন্তত তিনটি দোকান ও বসতভিটা। কী গ্যাস নির্গত হচ্ছে এবং কীভাবে ঘটলো দুর্ঘটনা, সেটি এখনও স্পষ্ট নয়।
প্রশাসন বলছে, ভেতরে আটকা পড়েছেন কয়েকজন। তাদের জীবিত উদ্ধারে বিশেষ পোশাক ও সরঞ্জাম নিয়ে অভিযানে নেমেছেন জরুরি বিভাগের কর্মীরা। সর্বোচ্চ সহায়তা এবং ক্ষতিপূরণের আশ্বাস দিয়েছেন রাজ্য মুখ্যমন্ত্রী।
এদিকে, এ ঘটনায় প্রাণহানি আরও বাড়ার আশঙ্কা করছেন চিকিৎসকরা। তারা বলছেন, বিষাক্ত গ্যাসের প্রভাবে নীল রঙ ধারণ করেছে ভুক্তভোগীদের ত্বক। যারা হাসপাতালে ভর্তি আছেন, তাদের বেশিরভাগেরই অবস্থা বেশ সংকটাপন্ন।