উদ্যোক্তা অঙ্কিত চোনাকে ‘সবচেয়ে পরিচ্ছন্ন ভারতীয় শহর’ এর জন্য তার বাছাই জিজ্ঞাসা করলে ঝটপট উত্তর আসে: দুবাই। ব্যবসায়ী নেহা কাশ্যপ দুবাইকে ‘ভারতীয় সবচেয়ে নিরাপদ শহর’ হিসাবে মূল্যায়ন করবেন। রেস্তোরাঁর মালিক ভূপেন্দ্র নাথ দুবাইকে ‘ বাণিজ্যের জন্য সেরা’ বলে অভিহিত করবেন। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা, নিরাপত্তা, বিশ্বমানের জীবনযাত্রার মান, সহজ ভিসার নিয়ম-কানুন, সব মিলিয়ে নানা কারণে ধনী ভারতীয়রা দুবাইকে বাড়ি বানানোর জন্য বেছে নিচ্ছেন।
গত দুই বছরে বাড়ি থেকে দূরে, দিল্লি বা মুম্বাই থেকে একটি সংক্ষিপ্ত ফ্লাইটের দূরত্ব আমিরাতে ‘হোম’ হিসাবে আবির্ভূত হচ্ছে যেখানে অনেকেই সেখানে স্থানান্তরিত হয়েছেন। তারা সেখানে একটি অস্থায়ী বা স্থায়ী ঘাঁটি স্থাপন করে তাদের ব্যবসা সম্প্রসারণ করছেন।
বিশ্বে মারাত্মক হিসেবে আবির্ভূত কোভিড ১৯-এর দ্বিতীয় তরঙ্গ সারা বিশ্বের ধনী ভারতীয়দের পছন্দের দীর্ঘমেয়াদী থাকার গন্তব্য হিসাবে দুবাইয়ের অবস্থানকে আরো দৃঢ় করেছে। ভারত জুড়ে ৬৫টি রেস্তোরাঁর চেইনের মালিক এবং হ্যাভমোর আইসক্রিমের প্রাক্তন প্রবর্তক চোনা বলেছেন যে, তিনি এ বছরের লকডাউনের আগে আহমেদাবাদ থেকে দুবাইয়ের উদ্দেশ্যে আক্ষরিক অর্থে শেষ ফ্লাইটটি ধরেছিলেন। তিনি ভেবেছিলেন যে, তিনি সেখানে এক মাস থাকবেন এবং তার রেস্তোঁরাগুলো আবার খোলার পরে ফিরে আসবেন। কোভিড পরিস্থিতি মোকাবেলা এবং ভাল শহুরে অবকাঠামো এবং বাচ্চাদের জন্য সুযোগ-সুবিধা দেখে মুগ্ধ হয়ে তিনি তার ৭ এবং ১০ বছর বয়সী ছেলেদের দুবাইয়ের স্কুলে ভর্তি করার সিদ্ধান্ত নেন এবং এটি এক বছরের জন্য পরিবারের জন্য একটি ভিত্তি হিসাবে রাখার সিদ্ধান্ত নেন।
দুবাই যেভাবে কোভিডকালে ব্যবস্থাপনা গড়ে তুলেছে তাতে মুগ্ধ হয়ে চোনা মহামারি চলাকালীন দুবাইয়ে থাকাটাকেই বেছে নিয়েছেন। সূত্র : টাইমস অব ইন্ডিয়া।