এনায়েত করিম রাজিব, বাগেরহাট জেলা প্রতিনিধিঃ ‘বন্ধুত্বের অবদান বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী হোক চির অম্লান’ এই প্রতিপাদ্য নিয়ে বঙ্গবন্ধুর জন্মশত বার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে ভারত সরকার কর্তৃক মোংলা পোর্ট পৌরসভায় একটি আইসিইউ সুবিধা সম্বলিত এ্যাম্বুলেন্স প্রদান করা হয়েছে।
লাইফ সাপোর্ট সম্বলিত এই অ্যাম্বুলেন্সে রয়েছে জটিল জীবন রক্ষাকারী প্রয়োজনীয় সরঞ্জামের সমন্বয়ে অত্যাধুনিক সুযোগ সুবিধা। রোগীদের মানসম্পন্ন জরুরি সেবা এবং ট্রমা লাইফ সাপোর্ট ও প্রাথমিক চিকিৎসায় ব্যবহার করা যাবে অ্যাম্বুলেন্সটি।
পৌরসভা চত্বরে (পুরাতন ডক শ্রমিক হাসপাতাল) এক আলোচনা সভা শেষে মঙ্গলবার (১৫ মার্চ) সকাল ১১টায় অত্যাধুনিক এই অ্যাম্বুলেন্সের প্রতীকী চাবি পৌর মেয়রের কাছে হস্তান্তর করেন ভারতীয় সহকারী হাই-কমিশনার রাজেশ কুমার রায়না।
পৌর মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ আঃ রহমান এর সভাপতিত্বে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আলহাজ্ব তালুকদার আঃ খালেক।
প্রধান অতিথির বক্তৃতায় খুলনা সিটি মেয়র ও খুলনা মহানগর আ’লীগের সভাপতি আলহাজ্ব তালুকদার আব্দুল খালেক বলেন, ‘স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে মিত্র ভারতের পক্ষ থেকে এমন উপহার সত্যিই চমৎকার। দুই দেশের এমন সম্পর্ক যুগ যুগ টিকে থাকবে।’
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, মোংলা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আবু তাহের হাওলাদার, মোংলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও মোংলা পোর্ট পৌরসভার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কমলেশ মজুমদার, বাগেরহাট ডেপুটি সার্জন ডাঃ মোঃ হাবিবুর রহমান, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ সিরাজুল ইসলাম।
ভারতীয় সহকারী হাই-কমিশনার রাজেশ কুমার রায়না তার বক্তব্যে বলেন, বাংলাদেশ এবং ভারত একই মায়ের দুটি সন্তান। তাই ভারতের দায়িত্ব রয়েছে বাংলাদেশের পাশে দাঁড়ানোর। আইসিইউ সম্বলিত এই এ্যাম্বুলেন্স ভারতবাসীর ভালোবাসার ছোট্ট একটি প্রতিক বলে দাবি করেন তিনি। শিক্ষা, চিকিৎসা, উন্নয়নে ভারত সব সময় বাংলাদেশের পাশে ছিলো এবং ভবিষ্যতেও থাকবে বলে ঘোষণা করেন তিনি।
মোংলা পৌর মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ আঃ রহমান বলেন, আমি সব সময় সাধারণ মানুষের পাশে থেকেছি। পৌরবাসী যেন ভাল থাকে সেই চেষ্টা করেছি। লাইফ সাপোর্ট সম্বলিত এই অ্যাম্বুলেন্সে জীবন রক্ষাকারী প্রয়োজনীয় সরঞ্জামের সমন্বয়ে অত্যাধুনিক সুযোগ সুবিধা রয়েছে। ভারত সরকারের দেয়া এই অ্যাম্বুলেন্সটি পৌরবাসীর জন্য সব সময় উন্মুক্ত থাকবে।
আয়োজিত অনুষ্ঠানে পৌর পরিষদের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারী ও কাউন্সিলরসহ আ’লীগের সহযোগী সকল সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।