ভারতের গ্রামাঞ্চলের প্রতি তিন চিকিৎসকের মধ্যে দু’জনই ভুয়া। চিকিৎসাশাস্ত্র পড়াশোনা না করেই দিনের পর দিন মানুষের চিকিৎসা করে যাচ্ছে তারা।
করোনাভাইরাস মহামারীতে জনগণের পর্যাপ্ত স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে গিয়ে এমনিতেই হিমশিম খাচ্ছে দেশটি। এর মধ্যেই উঠে এলো এক চাঞ্চল্যকর তথ্য।
এদিকে করোনার ওষুধ নিয়ে জনগণকে বিভ্রান্ত করার অভিযোগে যোগগুরু ও পতঞ্জলি আয়ুর্বেদের প্রধান বাবা রামদেবসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। শনিবার ওই মামলাটি করা হয়েছে। সেই সঙ্গে তাদের কোম্পানির উদ্ভাবিত করোনার ওষুধ ‘করোনিল’র সব প্রচারণা বন্ধ করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। খবর এনডিটিভি, ইন্ডিয়া টুডে ও নিউজ এইটিনের।
সম্প্রতি ভারতের ১৯টি রাজ্যে এক হাজার ৫১৯টি গ্রামের স্বাস্থ্যসেবা নিয়ে জরিপ চালায় সেন্টার ফর পলিসি রিসার্চ (সিপিআর) নামে একটি দাতব্য সংস্থা।
সোশ্যাল সায়েন্স অ্যান্ড মেডিসিন জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে তাদের এ জরিপের ফলাফল। জরিপে দেখা গেছে, ভারতের ৭৫ শতাংশ গ্রামে একটি স্বাস্থ্য পরিষেবা এবং একটি গ্রামে গড়ে তিনটি করে প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্র রয়েছে। সেখানে ৮৬ শতাংশই বেসরকারি চিকিৎসক কাজ করেন এবং ৬৮ শতাংশের কোনো ধরনের মেডিকেল শিক্ষা নেই।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ২০১৬ সালের প্রতিবেদনেও উঠে এসেছিল প্রায় একই ধরনের তথ্য। সংস্থাটি সে সময় জানায়, ভারতের ৫৭.৩ শতাংশ অ্যালোপ্যাথি চিকিৎসকের কোনো মেডিকেল শিক্ষা নেই।
এদের মধ্যে ৩১ দশমিক ৪ শতাংশ আবার দশম বা দ্বাদশ শ্রেণি পাস করেই ডাক্তারি করে যাচ্ছেন। জরিপে দেখা গেছে, ভুয়া ডাক্তারের সংখ্যায় সবচেয়ে এগিয়ে তামিলনাড়ু ও কর্নাটক।