May 18, 2024, 11:02 am
সর্বশেষ:
রামপালে ৬৩০ জন রোগী পেল বিনামূল্যে ছানি অপারেশনের সুযোগ  চাল বিতরণে অনিয়মের দায়ে ইউপি সদস্য বরখাস্ত মোরেলগঞ্জের পোলেরহাট বাজারে ভয়াবহ অগ্নিকান্ড, ১৩ দোকান পুড়ে ছাই মৌলভীবাজারে নদী রক্ষার বাঁধ নির্মাণে দীর্ঘসূত্রতা ৬ তারিখে বাজেট দেবো, বাস্তবায়নও করবো: প্রধানমন্ত্রী বেনাপোলে দোয়াত কলম প্রতীকের নির্বাচনী গণসমাবেশ দেশজুড়ে আজ থেকে ‘নো হেলমেট, নো ফুয়েল’ কার্যকর বিমানের সাবেক এমডিসহ ১৬ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুদকের চার্জশিট সরকারের জলবায়ু সংক্রান্ত পদক্ষেপ দরিদ্র ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর ঝুঁকি হ্রাস করেছে : প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনের আড়াই বছর পর বিজয়ী হলেন পরাজিত প্রার্থী

ভারতের অভিশপ্ত গ্রাম, ৪০০ বছরের মধ্যে একটি শিশুও জন্মায়নি

  • Last update: Tuesday, November 16, 2021

ভারতের মধ্য প্রদেশে আছে এমনই একটি গ্রাম, যেখানে গত ৪০০ বছরের মধ্যে একটি শিশুও জন্মায়নি। শঙ্ক শ্যাম জি নামের এই গ্রামের অধিবাসীদের বিশ্বাস, গ্রামটি অভিশপ্ত। স্বয়ং ঈশ্বর এই গ্রামের নারীদের অভিশাপ দিয়েছেন বলেই দাবি তাদের। তাই গ্রামের পরম্পরা মেনে গত ৪০০ বছরে কোনো শিশুকেই এই গ্রামের মাটিতে জন্মাতে দেয়া হয়নি। খবর এনডিটিভির।

মূলত, গ্রামের নারীরা সন্তান ধারণ করতে পারলেও সেই শিশুকে কোনো হাসপাতালে বা বাড়িতে ভুমিষ্ঠ করতে পারেন না তারা। প্রচলিত নিয়ম হলো, শিশু জন্মের আগে প্রসূতি মাকে পার করতে হবে গ্রামের সীমানা। গ্রামের বাইরে একটি বিশেষ ঘরও তৈরি আছে। সেখানে গর্ভবতী মায়েদের প্রসবকালীন এবং পরবর্তী সমস্ত সেবা-শুশ্রুষার ব্যবস্থা আছে।

বিগত ৪০০ বছর ধরে এই একই পরম্পরা মেনে আসছেন এই গ্রামের অধিবাসীরা। তাদের দাবি, এর আগে বেশ কয়েকজন এই রীতির বিরুদ্ধে গিয়ে গ্রামেই সন্তান প্রসব করেন। তবে প্রতি ক্ষেত্রেই হয় মৃত শিশু ভুমিষ্ঠ হয়েছে, নতুবা প্রসবের সময়ই করুণ মৃত্যু হয়েছে মায়ের।

গ্রামবাসীদের দাবি, এই গ্রামের ওপর অভিশাপ আছে স্বয়ং ঈশ্বরের। এ নিয়ে একটি ঘটনাও প্রচলিত আছে। শোনা যায়, ১৬ শতাব্দির দিকে এই গ্রামে একটি মন্দির নির্মাণের কাজ শুরু হয়। নির্মাণাধীন সেই মন্দিরের পাশেই একদিন এক গৃহিনী গম ভাঙছিলেন। আর সেই শব্দে বিরক্ত হয়ে ঈশ্বর অভিশাপ দেন, এই গ্রামের মাটিতে কোনো নারীই সন্তান জন্মদান করতে পারবে না। এরপর থেকেই চলে আসছে এই প্রচলন।

স্থানীয়রা জানান, এই গ্রামে একটি হাসপাতাল থাকলেও সেখানে অন্যান্য রোগের চিকিৎসার জন্য যান গ্রামবাসীরা। তবে সন্তান জন্মদানের কাজ হয় গ্রামের বাইরেই।

এদিকে, গ্রামের নারীদের ওপর অভিশাপ থাকলেও পুরুষরা পেয়েছেন আশির্বাদ। স্থানীয়দের দাবি, এই গ্রামে কোনো পুরুষ কখনও নেশায় আসক্ত হন না। এমনকি কোনো মাংসও খান না তারা। আর এই অভ্যাসের প্রচলনও প্রায় ৪০০ বছরের পুরনো।

Drop your comments:

Please Share This Post in Your Social Media

আরও বাংলা এক্সপ্রেস সংবাদঃ
© 2023 | Bangla Express Media | All Rights Reserved
With ❤ by Tech Baksho LLC