কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, ‘আমরা অনেক বেশি ভাত খাই। যদি ভাতের এই কনজাম্পশন (খাওয়া) কমাতে পারি, তাহলে চালের চাহিদা অনেকটাই কমে যাবে। আমরা একেকজন দিনে প্রায় ৪০০ গ্রাম চাল খাই, পৃথিবীর অনেক দেশে ২০০ গ্রামও খায় না।’ ভাতের পরিবর্তে পুষ্টিকর খাবার বেশি করে খাওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
রবিবার (২৪ অক্টোবর) দুপুরে রাজধানীর একটি পাঁচ তারকা হোটেলে ‘বাংলাদেশের ৫০ বছর, কৃষির রূপান্তর ও অর্জন’ শীর্ষক এক কৃষি সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান। দৈনিক বণিক বার্তা ও বাংলাদেশ কৃষি সাংবাদিক ফোরাম (বিএজেএফ) যৌথভাবে এই কৃষি সম্মেলনের আয়োজন করে।
৫০ বছরে দেশের কৃষি খাতের প্রতিটি ক্ষেত্রে উন্নতি হয়েছে উল্লেখ করে কৃষিমন্ত্রী বলেন, এই করোনাকালেও দেশের মানুষের খাদ্যের কষ্ট হয়নি, কোনও মানুষ না খেয়ে নেই, কোনও মানুষের মাঝে হাহাকার নেই- এমনই পরিস্থিতিতে আমাদের আজকের চ্যালেঞ্জ বাংলাদেশকে পুষ্টি জাতীয় নিরাপদ খাদ্যে নিয়ে যেতে চাই। তার জন্য বাংলাদেশকে আমরা আধুনিক কৃষিতে নিয়ে যেতে চাই। আমরা বাংলাদেশকে খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণে নিয়ে যেতে চাই। যাতে আমাদের উদ্বৃত্ত খাবার থাকে।
বাংলাদেশ এখন খাদ্যে অনেকটাই স্বয়ংসম্পূর্ণ উল্লেখ করে মন্ত্রী আরও বলেন, খাদ্যের কোনও অভাব নেই দেশে। এখন পুষ্টিজাতীয় খাদ্য নিশ্চিত করতে সরকার কাজ করছে। সেজন্য কৃষির বাণিজ্যিকীকরণ করার তাগিদ দেন তিনি।
মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের কৃষিপণ্য রফতানি করতে হবে। আগামী পাঁচ থেকে ছয় বছর পর বছরব্যাপী দেশে আম পাওয়া যাবে বলেও জানান মন্ত্রী।
ঊর্বর ভূমি ও পানি দেশের আশীর্বাদ উল্লেখ করে কৃষিমন্ত্রী বলেন, এই ঊর্বর ভূমি ও পানি কাজে লাগাতে পারলে আমাদের কৃষি আরও অনেক দূর এগিয়ে যাবে। আমরা সব ধরনের কৃষি আবাদে এগিয়ে যাচ্ছি। আমরা যে বিশুদ্ধ পানি পাচ্ছি; তা খুব কম দেশেই আছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশের খাদ্য ও কৃষিতে সফলতা অর্জিত হয়েছে বলেও অনুষ্ঠানে উল্লেখ করেন মন্ত্রী।
দৈনিক বণিক বার্তার সম্পাদক ও প্রকাশক দেওয়ান হানিফ মাহমুদের সঞ্চালনায় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন এফএও বাংলাদেশের কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভ রবার্ট ডি সিম্পসন এবং ইউএসএআইডি বাংলাদেশের মিশন ডিরেক্টর ক্যাথরিন স্টিভেন্স। অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ ধান গবেষণা প্রতিষ্ঠান (ব্রি.) ড. মো. শাহাজাহান।