তিমির বনিক, মৌলভীবাজার থেকে: মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলার সদর ইউপি উত্তর ডিমাই গ্রামের কতিপয় অসাধু ব্যক্তি মসজিদ নির্মাণের নামে সাইনবোর্ড টানিয়ে পাশের ষাটমা ছড়ার পাড় ভরাট করছে পাহাড়ি জনপদ সুউচ্চ সরকারি প্রকৃতির টিলা কেটে। এছাড়াও ব্যাপক গাছপালাও ধ্বংস করেছেন টিলা কেটে।
নির্বাক ছিলেন স্থানীয় ইউনিয়ন সহকারি ভুমি কর্মকর্তা টিলা ধ্বংস ও ছড়া ভরাট প্রায় দেড় মাস ধরে চললেও। তবে সহকারী কমিশনার (ভুমি) মো. জাহাঙ্গীর হোসাইন বৃহস্পতিবার বিকালে টিলা কর্তনকারীদের উচ্ছেদ করেছেন। এ ব্যাপারে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের প্রস্তুতি চলছে।
স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, স্থানীয় বাসিন্দাদের একটি জামে মসজিদ রয়েছে বড়লেখা সদর ইউনিয়নের উত্তর ডিমাই গ্রামের ষাটমার পাড় বাজারে। স্থানীয় প্রভাবশালীরা আরেকটি মসজিদ নির্মাণের লক্ষ্যে সাইনবোর্ড টানিয়ে সরকারি প্রাকৃতিক টিলা সাবাড় করতে থাকেন এর মাত্র ৫০ গজের মধ্যে। তারা প্রায় ৪৫ ফুট উঁচু সরকারি প্রাকৃতিক টিলা কেটে পাশের ষাটমা ছড়ার তীর ভরাট করছেন। পাহাড়ি ঢলের পানি প্রবাহেও মারাত্মক প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির আশংকা রয়েছে টিলা ধ্বংসের কারণে প্রাকৃতিক পরিবেশ বিনষ্টের পাশাপাশি ছড়ার পাড় ভরাট করায়।
স্থানীয়দের বরাত থেকে জানা যায়, গ্ৰামের ৫০ গজের মধ্যেই জামে মসজিদ থাকায় এখানে আরেকটি মসজিদ নির্মানের প্রয়োজন নেই। মসজিদের সাইনবোর্ড টানিয়ে মুলত ধর্মীয় অনুভুতিকে কাজে লাগিয়ে এরা সরকারি টিলা দখলের পায়তারা চালাচ্ছে। রহস্যজনক কারণে ভুমি কর্মকর্তাদের কেউ ব্যবস্থা নেননি। টিলা কর্তন চলছে প্রায় দেড় মাস ধরে চললেও এর কোন রকম ভূমিকার দেখা মেলেনি ভূমি কর্মকর্তাদের নিশ্চুপ নিরবতার অদৃশ্য শক্তি কি!
কুলাউড়ার সহকারি কমিশনার (ভুমি) মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, বৃহস্পতিবার বিকেলে খবর পেয়ে তিনি টিলা কর্তনকারীদের উচ্ছেদ করেছেন। টিলা কর্তনকারিদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্ৰড়নের জন্য ইউনিয়ন সহকারি ভুমি কর্মকর্তার প্রতিবেদন পাওয়ার পর আইনি প্রক্রিয়ায় কোন বাঁধা থাকবে না। বিস্তারিত তথ্য চেয়ে ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তাকে জানান।