বাংলাদেশ সফররত ব্রুনাইয়ের সুলতান হাজি হাসানাল বলকিয়াহকে দেশে ফেরার সময় উপহার হিসেবে বাংলাদেশ ব্ল্যাক বেঙ্গল ছাগল উপহার দেবেন বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
রোববার (১৬ অক্টোবর) ঢাকায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে বাংলাদেশ ও ব্রুনাইয়ের মধ্যে প্রতিনিধি পর্যায়ের দ্বিপাক্ষিক বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান মন্ত্রী।
ড. মোমেন বলেন, ‘ব্রুনাই আগে থেকেই হালাল খাবারের প্রতি যথেষ্ট নজর দিয়েছিল। আমাদের দেশে যথেষ্ট গরু-ছাগল উৎপাদন করি। আমাদের ব্ল্যাক বেঙ্গল ছাগল ব্রুনাইয়ের সুলতানের খুব পছন্দ। আসার পর থেকে (ঢাকায়) উনাকে (সুলতান) আমাদের ছাগলের কাচ্চি বিরিয়ানি খাওয়াচ্ছি। কারণ তিনি এটা খুব পছন্দ করেন।’
দেশে ফেরার সময় সুলতানকে উপহার হিসেবে বাংলাদেশ বেঙ্গল ছাগল উপহার দেবেন বলে জানান মোমেন। এ সময় রসিকতা করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা বলছিলাম, আমরা একটা বাবুর্চিও সঙ্গে করে দিয়ে দেব। এটা মন্দ হয় না।’
এর আগে বিকেলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ব্রুনাইয়ের সুলতান হাজি হাসানাল বলকিয়াহর সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক শেষে বাংলাদেশ-ব্রুনাইয়ের মধ্যে একটি চুক্তি ও তিনটি সমঝোতা স্মারক সই হয়।
বৈঠক শেষে ব্রুনাই ও বাংলাদেশের মধ্যে বিমান চলাচল সংক্রান্ত একটি চুক্তি সই হয়েছে। এ ছাড়া জনশক্তি রফতানি, জ্বালানি সহযোগিতা ও নাবিকদের সার্টিফিকেশন সংক্রান্ত তিনটি সমঝোতা স্মারক সই হয়।
দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে ব্রুনাই প্রতিনিধি হালাল মাংস নিয়ে আলোচনা করেছেন বলেও জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
এদিন বিকেল পৌনে ৪টার দিকে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পৌঁছালে ব্রুনাই দারুসসালামের সুলতান হাসানাল বলকিয়াহকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর দুই নেতার মধ্যে একান্ত বৈঠক শুরু হয়।
তিনদিনের রাষ্ট্রীয় সফরে শনিবার (১৫ অক্টোবর) দুপুরে ঢাকায় পৌঁছান সুলতান বলকিয়াহ। এ সময় বিমানবন্দরে তাকে লালগালিচা সংবর্ধনা দিয়ে স্বাগত জানায় বাংলাদেশ। সুলতানকে বিমানবন্দরে স্বাগত জানান রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।
বিমানবন্দর থেকে সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধ গিয়ে বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধের বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান সুলতান। পরে ধানমণ্ডি ৩২ নম্বরে গিয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানান। শনিবার রাতে তিনি বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের দেয়া নৈশভোজে অংশ নেন।
সোমবার (১৭ অক্টোবর) ঢাকা ত্যাগ করার কথা রয়েছে ব্রুনাইয়ের সুলতানের।