মো. রাসেল ইসলাম,যশোর জেলা প্রতিনিধি: করোনাকালীন সময়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বেনাপোল বন্দরে কাজ করছে হাজার হাজার শ্রমিক। কর্মরত শ্রমিক সহ বন্দর ব্যবহারকারি প্রায় ৭ হাজার সদস্যকে ভ্যাকসিনের আওতায় আনা না হলে হুমকির মুখে পড়বে বেনাপোল বন্দর। বন্দরের পণ্য আমদানি রফতানির সাথে বন্দরের শ্রমিক ছাড়াও ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করে কাষ্টমসের কর্মকর্তা কর্মচারি, বন্দরের কর্মকর্তা কর্মচারি, সিএন্ডএফ এজেন্ট মালিক কর্মচারি, ট্রান্সপোর্ট মালিক শ্রমিক, ট্রাকের চালক ও সহকারি সহ প্রায় ৭/৮ হাজার বিভিন্ন পেশাজীবি। সরকার বছরে প্রত্যক্ষ পরোক্ষভাবে প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব আদায় করে বেনাপোল থেকে। কঠোর বিধিনিষেধ ঘোষণা এবং করোনা ঝুঁকি মাথায় নিয়ে ভারতীয় ট্রাক ড্রাইভারদের পাশে থেকে কাজ করতে হয়। শ্রমিকসহ বন্দর ব্যবহারকারি ৫টি প্রতিষ্ঠানের প্রায় ৭ হাজার জন কে। এতে তাদের শারীরিক ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা কঠিন হয়ে পড়ে।
ফলে আক্রান্তের হার ক্রমশ বাড়ছে। এজন্য বন্দরের প্রতিটি শ্রমিকসহ সকল সদস্যদের সরকারি ভাবে টেস্ট এবং একই সঙ্গে ভ্যাকসিনের আওতায় নেয়া খুবই জরুরি।
বেনাপোল বন্দরে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে বাঁচতে দুই দেশের পণ্য পরিবহনকারী ট্রাকচালক ও হেলপারদের মধ্যে নেই কোন স্বাস্থ্য সচেতনতা। ফলে বেনাপোলে বেড়ে গেছে সংক্রমণ ঝুঁকি। ভারতের বিভিন্ন স্থান থেকে পণ্য নিয়ে আসা ট্রাক চালকরা সরাসরি প্রবেশ করছেন বেনাপোল বন্দরে। এ কারনে করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধ ব্যবস্থা কার্যকর করা জরুরি। বন্দর কর্তৃপক্ষ বলছে, স্বাস্থ্য বিভাগের সঙ্গে আলোচনা করে সুরক্ষা নিশ্চিত করা হচ্ছে।
বেনাপোল বন্দরের উপ-পরিচালক মামুন তরফদার বলেন, পাশ্ববর্তী দেশ ভারতে করোনা ভ্যারিয়েন্ট বেড়ে যাওয়ার কারনে বেনাপোল বন্দর এলাকায় সংক্রামন ঠেকাতে অবিলম্বে টিকা প্রদান কর্মসুচি চালু করা দরকার।