যশোর জেলা প্রতিনিধি: যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দরের হ্যান্ডলিং শ্রমিক ইউনিয়নের (৮৯১) সাবেক সভাপতি মোঃ মোস্তফার ওপর বর্তমান সভাপতি ও সম্পাদকের নেতৃত্বে শ্রমিকদের দিয়ে তার নিজ বাড়িতে হামলা চালানোর অভিযোগ ওঠেছে।
শনিবার সকালের দিকে বেনাপোল পোর্ট থানার বড়আঁচড়া গ্রামের মালেকের দোকানের সামনে শ্রমিদের ব্যবহারের হুক, হাতুড়ি, দা, লাঠি নিয়ে হামলা করা হয়। সেখানে গ্রামবাসী প্রতিরোধে এগিয়ে আসলে তার পিছিয়ে চলে আসে। যার ফলে বড় ধরনের কোন দুর্ঘটনা ঘটেনি। তবে এ ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।
শ্রমিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি মোঃ মোস্তফা জানায়, শ্রমিকদের বন্দরের পাথরের বিল সংক্রান্ত প্রায় সাড়ে ৪ কোটি টাকা না দেয়ায় এক মাস আগে শ্রম অধিদপ্তরে একটি অভিযোগ দেওয়া হয়। এই অভিযোগ করায় বন্দরের হ্যান্ডলিং শ্রমিক ইউনিয়নের বর্তমান সভাপতি ও সম্পাদকের নির্দেশে শ্রমিকদের গ্রুপ সর্দাররা তার ওপর এই হামলা চালায়।
স্থানীরা জানায়, শ্রমিকরা কাজ করে বন্দরের অভ্যন্তরে। কথায় কথায় তারা একটি রাজনৈতিক দলের ছত্রছায়ায় দলবদ্ধ হয়ে হাতুড়ি, হুক, লাঠি ও রামদা নিয়ে গ্রামের মধ্যে এসে সন্ত্রাসী কার্যক্রম করে থাকে কি ভাবে। কেউ অন্যায় করলে তার জন্য দেশের আইন আছে। এ ভাবে প্রকাশ্যে জনগনের সামনে এ ধরনের কার্যক্রম খুবই জঘন্য। এ ধরনের কাজের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানায়।
এ ব্যাপারে বন্দর হ্যান্ডলিং শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি কলি মোল্লা জানান, সাবেক সভাপতি মোস্তফা শ্রমিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দের বিরুদ্ধে ৫ কোটি টাকা আত্নসাতের অভিযোগ দিয়েছে শ্রম অধিদপ্তরে। প্রকৃত পক্ষে বেনাপোল স্থলবন্দর কতর্ৃপক্ষ পাথর লোড আনলোডের কোন টাকা ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানকে দেয়নি। ঠিকাদার আমাদেরকেও টাকা দেয়নি। এমন মিথ্যা অভিযোগ কেন দেওয়া হলো তার কাছে শ্রমিরা জানতে গিয়েছিল। তার ওপর হামলার বিষয়টি অস্বীকার করেন এ শ্রমিক নেতা।
এদিকে বেনাপোল পোর্ট থানায় হামলার বিষয়টি জানতে চাইলে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মামুন খান জানান, ঘটনা শোনার পরপরই পুলিশের একটি টহলদল ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে। তবে ঘটনাস্থলে সংবাদকর্মীরা পুলিশের কাউকে দেখতে পায়নি।
উল্লেখ্য এর আগে শ্রমিকদের নেতৃত্বে ছিল মোস্তফা, দলীয় কোন্দলের কারনে মোস্তফাকে শ্রমিক ইউনিয়নের সামনে বেধড়ক মারপিট করে শ্রমিক ইউনিয়ন দখল করে নেয় বর্তমান কমিটি।