মো. রাসেল ইসলাম,যশোর জেলা প্রতিনিধি: করোনা ভাইরাসের সামাজিক সংক্রমন ঠেকাতে যশোরের বেনাপোল ও শার্শা উপজেলায় কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। মঙ্গলবার এক গণ বিজ্ঞপ্তিতে কঠোর এ বিধিনিষেধ জারি করা হয়। বিকেল পাঁচটার পর সকল ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার নির্দেশনাসহ ১২ দফা কঠোর নির্দেশনা দিয়েছেন ওই গণ বিজ্ঞপ্তিতে।
শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. ইউসুফ আলি জানান, গত ২৪ ঘন্টায় শার্শা উপজেলায় ৩০টি নমুনার মধ্যে ২২ জনের করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। শনাক্তের শতকরা হার ৭৩.৩৩। এ পর্যন্ত উপজেলায় ৬২১ জন করোনা রোগী পাওয়া গেছে। যাদের হোম কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে।
তিনি বলেন, এই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এখন করোনা টেস্টও করা যাচ্ছে। বন্দর কেন্দ্রিক যাত্রীর কথা ভেবে গত ১৮ মে করোনা টেস্টের জন্য হাসপাতালে মেশিন বসানো হয়েছে। এখন এখানেই ‘র্যাপিড অ্যান্টিজেন’ পরীক্ষা করা হচ্ছে।
এরপরও অনীহার কারণে সাধারণ মানুষকে ব্যাপকভাবে টেস্টের আওতায় আনা সম্ভব হচ্ছে না। যারা স্বেচ্ছায় টেস্টের জন্য আসছে তাদেরকেই কেবল পরীক্ষা করা হচ্ছে। তবে এ সংখ্যাও কম না।
শার্শা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মীর আলিফ রেজা বলেন, উপজেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক এই কঠোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এখন থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত ঘরের বাইরে এবং জনসমক্ষে সকলকে বাধ্যতামূলক মাস্ক পরিধান করতে হবে। গণপরিবহন বন্ধ থাকবে। বিকেল পাঁচটার পর সকল ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখতে হবে। মোটরসাইকেলে একজন ও ইজিবাইকে দুই জনের বেশি যাত্রী বহন করা যাবে না। সকল প্রকার গনজমায়েত, সভা সমাবেশ, মিছিল নিষিদ্ধ করা হয়েছে। হোটেল রেস্তোরায় বসে খাওয়া যাবে না এবং চায়ের দোকানে বেঞ্চ, কেরামবোর্ড ও টেলিভিশন রাখা যাবে না। বিনা কারনে সন্ধা ৬টার পরে ঘরের বাইরে আসা যাবে না।
ইমিগ্রেশন সূত্রে জানা যায়, গত ২৬ এপ্রিল থেকে ১৫ জুন (দুপুর ২টা ) পর্যন্ত ভারত থেকে ৫ হাজার ২৩০ জন পাসপোর্টধারি যাত্রী বাংলাদেশে ফিরেছেন। কোভিড পজিটিভ সনদ নিয়ে ভারত থেকে ফিরেছেন ১৩ জন। ফেরত আসা বাংলাদেশিদের মধ্যে ৪৬ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছে। ৬ জনের শরীরে মিলেছে ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট। ভারতে কখনো যায়নি যশোরে এমন মানুষের শরীরেও মিলেছে ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট।