মোঃ রাসেল ইসলাম,যশোর জেলা প্রতিনিধি: কোভিড-১৯, মহামারী করোনা ভাইরাসের কারণে চলছে দেশব্যাপী লকডাউন কর্মসূচি। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মানুষ থেকে মানুষের মধ্যে এই ভাইরাসটি ছড়ায় বলে তারা জানিয়েছেন। এ কারণে প্রত্যেককে ঘরে অবস্থানের জন্য পরামর্শ দিচ্ছেন । ভয়াবহ এই ভাইরাস থেকে দেশবাসীকে রক্ষা করতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই কর্মসূচির নির্দেশনা ঘোষণা করেন।
গত ( ২৬ শে মার্চ ২০২০ ইং ) তারিখ থেকে প্রায় দুই মাস যাবৎ চলছে ঘরে অবস্থানের কর্মসূচি। সে কারণে সকল শ্রেণী-পেশার মানুষ কর্মহীন হয়ে ঘরে বন্দী হয়ে আছেন। বিশেষ করে দিন আনা দিন খাওয়া দিনমজুরেরা পড়েছেন বিপাকে। পরিস্থিতি সামাল দিতে সরকার জিলা- উপজিলা প্রশাসন এবং জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে সরকারি সাহায্য সহযোগিতা অব্যাহত রেখেছেন। সরকারের পাশাপাশি সমাজের ব্যক্তিবিশেষ ,সমাজসেবক , রাজনৈতিক দল এবং ছোট-বড় বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনগুলো তাদের নিজেদের পক্ষ থেকে অসহায় এবং দুঃস্থদের মাঝে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন।
লকডাউনের কারণে দেশের সর্ববৃহৎ স্থলবন্দর বেনাপোল চেকপোস্ট দিয়ে পাসপোর্ট যাত্রী এবং পণ্য আদান-প্রদান সম্পূর্ণভাবে বন্ধ থাকায় এখানকার কুলি-শ্রমিকরা পড়েছেন বিপাকে। কর্মহীন হয়ে তারা পরিবার-পরিজন নিয়ে অসহায়ত্বের মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন। চেকপোষ্টে প্রায় ৩০০ কুলি- শ্রমিকদের সাহায্যার্থে এগিয়ে এলো সীমান্তের অতন্দ্র প্রহরীর দায়িত্বে থাকা বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ(বিজিবি)’র ৪৯ ব্যাটালিয়ন যশোরের সদস্যরা।
৪৯, বিজিবি সদস্যরা তাদের বেতন এবং কল্যাণ তহবিল থেকে অর্থ সংগ্রহ পূর্বক তারা এই খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করছেন বলে জানা যায়। প্রত্যেক দুঃস্থ পরিবারের জন্য চাল, ডাল, আটা ,লবণ, তেল ,সাবান এবং একটি করে মাক্স বিতরণ করা হয়। এ সময় উপস্থিত স্থানীয় সাংবাদিকদের হাতে কিছু ত্রাণ সামগ্রীও তুলে দেওয়া হয়। পর্যায়ক্রমে মোট ১৪০০ দুঃস্থদের মাঝে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করা হবে বলে জানানো হয়।
ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রমে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ৪৯, ব্যাটালিয়ন বিজিবি’র অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল মোঃ সেলিম রেজা, পিএসসি। ত্রাণ বিতরণ শেষে সেলিম রেজা সাংবাদিকদের জানান, লকডাউন মুহূর্তে সীমান্তে সরকারের সকল প্রকার নির্দেশনা মেনে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। মহামারী করোনা ভাইরাসের কারণে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে কড়াকড়ি নির্দেশনা থাকায় পাসপোর্ট যাত্রীদের আনাগোনা নেই বললেই চলে। তবে, ভারতে আটকে পড়া কিছু কিছু বাংলাদেশী নাগরিক দেশে ফিরতে শুরু করেছে। প্রাথমিক অবস্থায় তাদেরকে উপজেলা ম্যাজিস্ট্রেট এর নির্দেশে বেনাপোলে স্থাপিত অস্থায়ী কোয়ারেন্টটাইনে ১৪ দিনের জন্য রাখা হচ্ছে। অপরদিকে, পণ্য আদান-প্রদানে সরকারের যেকোনো নির্দেশনা বাস্তবায়নে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ বিজিবি সব সময় প্রস্তুত রয়েছে বলে জানান তিনি।