চীনের বেইজিংয়ে নতুন করে করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবকে ‘অত্যন্ত ভয়ানক’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন এক নগর কর্মকর্তা। দেশটির সংবাদমাধ্যম গ্লোবাল টাইমসকে ওই কর্মকর্তা জানিয়েছেন, কর্তৃপক্ষ এখন ওই অঞ্চলে করোনার বিরুদ্ধে সর্বাত্মক লড়াইয়ের প্রস্তুতি নিচ্ছে। তবে ওই কর্মকর্তার নাম প্রকাশ করেনি তারা। খবর আল জাজিরার।
ট্যাবলয়েডটির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বেইজিংয়ের ১১টি জেলার মধ্যে ৯টিতেই সংক্রমণ ধরা পড়েছে। এরমধ্যে মার্কেট এলাকা ফেংটাইতে অবস্থা সবচেয়ে খারাপ।
ওই কর্মকর্তা বলেন, আমাদের এখন সর্বাত্মক একটা লড়াইয়ে নামতে হবে। প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে এবং বিষয়টাকে সবচেয়ে গুরুত্বের সঙ্গে নিতে হবে।
বুধবারের মধ্যে নগরকেন্দ্রিক পর্যালোচনা শেষ করার পাশাপাশি পাইকারি ও সবজি বাজার এবং রেস্তোরাঁগুলোতে স্যানিজাইজেশন ক্যাম্পেইন সম্পন্ন করতে চায় কর্তৃপক্ষ। এমনকি মার্কেটের সব ব্যবসায়ীকে নিউক্লেইক অ্যাসিড টেস্টের মধ্য দিয়ে যেতে হবে।
নতুন করে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে ব্যর্থ হওয়ায় গত সোমবার দক্ষিণাঞ্চলীয় ফেংটাই জেলার ডেপুটি হেড ঝৌ ইউকিংকে পদ থেকে সরিয়ে দেয়া হয়েছে।
রাজধানী বেইজিংয়ে নতুন করে বেশ কিছু করোনা রোগী ধরা পড়ার পর এ সিদ্ধান্ত আসে। ফেংটাই জেলার জিনফেডি মার্কেটের কিছু লোকের সংস্পর্শে আসার কারণে তারা সংক্রমিত হয়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। জিনফেডি ফল, সবজি এবং মাংসের বড় বড় মার্কেট। ঝৌ ছাড়াও জেলার হুয়াসিয়াং শহরের পার্টি সেক্রেটারি ওয়াং হাউ এবং জিনফেডির কৃষি পণ্যের হোলসেল মার্কেটের জেনারেল ম্যানেজার জং ইয়েলিনকেও বরখাস্ত করা হয়েছে। এ বিষয়ে অধিকতর তদন্ত বলছে বলেও প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বরাতে বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, বেজিংয়ে নতুন করে শতাধিক করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন।
ওয়ার্ল্ডোমিটারসের তথ্যমতে প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত চীনে সব মিলিয়ে ৮৩ হাজার ২২১ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন। মৃত্যু হয়েছে ৪ হাজার ৬৩৪ জনের। দেশটির হুবেই প্রদেশের উহানে সর্বপ্রথম এ ভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়ে। যেখান থেকে পরে সারাবিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে। তবে ভাইরাসের বিরুদ্ধে প্রাথমিক যুদ্ধে ‘বিজয়’ ঘোষণা করেছিল চীন। অন্যান্য অনেক দেশের তুলনায় তাদের ক্ষয়ক্ষতিও এখন পর্যন্ত কম। তবে দেশটিতে নতুন করে সংক্রমণ চিন্তায় ফেলে দিয়েছে স্থানীয় কর্তৃপক্ষকে।