
তিমির বনিক, মৌলভীবাজার প্রতিনিধি: মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল, কমলগঞ্জ উপজেলায় দিনভর বৃষ্টিতে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। বুধবার (১৮ মে) ভোর থেকে অব্যাহত বৃষ্টির কারণে মৌলভীবাজার সদর মনু, কমলগঞ্জে উপজেলার ধলাই নদ-নদীতেও পানি বাড়ছে। বৃষ্টির কারণে মধ্য ও নিম্ন আয়ের মানুষেরা বিপাকে পড়েছেন। এছাড়া কমলগঞ্জ উপজেলার বোরো চাষিরা কাটা ধান নিয়ে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
নিম্ন আয়ের মানুষদের সাথে কথা বলে জানা যায়, বৃষ্টির কারণে বেশির ভাগ মানুষ কাজে বের হতে পারেননি। কাজে না যাওয়ার ফলে অনেকেই লুডু খেলে অলস সময় কাটাচ্ছেন। বৃষ্টির কারণে বিশেষ করে রিক্সা ও ভ্যান চালক, দিনমজুরেরা বেশি বিপাকে পড়েছেন বলে কথা বলে জানা যায়।
সরেজমিনে কয়েক উপজেলা ঘুরে কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা যায়, ভারী বৃষ্টির কারণে সাধারণ মানুষের জনজীবন বিপর্যস্ত অভাবের চাপ চোঁখে মুখে ভাসছে। খুব অল্প সংখ্যক মানুষ বাহিরে বের হয়েছেন। নিম্ন আয়ের মানুষেরা বিশেষ করে রিস্কা, ভ্যানচালকেরা বের হলেও সারাদিনে আয় করতে পারেননি গাড়ি ভাড়ার টাকাও। এছাড়া বৃষ্টির কারণে বাজারে মানুষ না আসার কারণে ছোট ছোট ব্যাবসায়ীরা অপেক্ষায় আছেন কখন বন্ধ হবে বৃষ্টি।উপজেলার মুন্সিবাজার বাজারের এক ষ্টুডিও ব্যবসায়ী শ্যামল পালের সাথে কথা বললে তিনি জানান, এমনি’তে আগের মত ব্যবসা নেই করোনা মহামারির মধ্যে চরম রকমের দখল গেল এর মধ্যে প্রতিনিয়ত বৃষ্টির মধ্যে চরম রকমের মানসিক ভাবে ক্লান্ত। ক্ষুদ্র সবজি ব্যবসায়ী ময়নুল ইসলাম বলেন, বৃষ্টির মাঝে অতি প্রয়োজন ছাড়া মানুষজন বাজারে আসেননা। কাঁচা মালগুলো আজ বিক্রি করার মত মানুষ ও নেই বাজারে,আর নক বিক্রি করতে পারলে পচে যাবে।
মুন্সিবাজার এলাকার রিস্কা চালক হারুন মিয়া বলেন, রিকশা নিয়ে বের হয়েছি ঠিক কিন্তু কোন যাত্রী নেই। প্রতিদিন রিস্কা ভাড়া ২০০ টাকা দিতে হয়। টাকা রুজি না করলে রিস্কা ভাড়া ও পরিবারের জন্য খাবার কিছুই নিতে পারবোনা।
উপজেলার পতনঊষার এলাকার দিনমজুর সমুজ মিয়া বলেন, গত কয়েকদিন ধরে বৃষ্টির কারণে ঠিক মতো কাজ করতে পারেনি। আজ কাজে যোগদান করেও কাজ করতে পারেনি বৃষ্টির জন্য। ঘরে চাল, ডাল, তেল কিছুই নেই। পকেটে টাকাও নেই। বউ বাচ্চার জন্য বাড়িতে কী নিয়ে যাবো জানিনা একমাত্র আল্লাহ ছাড়া দেখার কেউ নেই।
এদিকে শ্রীমঙ্গল উপজেলার কয়েক জন রিস্কা চালক,ব্যবসায়ীর সাথে কথা বলে হতাশার আর অন্ধকারে ধেয়ে আসছে জীবন যাপন এমটাই বিমর্ষ মুখে বলছিলেন সত্যি যেন গরীবের সন্তান হয়ে জন্ম নেওয়া পাপ, তারা বলেন আমি তো একা না ঘরে গেলে পরিবারের সদস্যরা বসে থাকে বাজার নিয়ে গেলে রান্না হবে ।এমন হতাশায় কথা বলে কান্না জর্জরিত কন্ঠে বলছিলেন বৃষ্টি ও যেন অভিশাপ ।
বৃষ্টি যেন অভিশাপ
তিমির বনিক, মৌলভীবাজার প্রতিনিধি: মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল, কমলগঞ্জ উপজেলায় দিনভর বৃষ্টিতে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। বুধবার (১৮ মে) ভোর থেকে অব্যাহত বৃষ্টির কারণে মৌলভীবাজার সদর মনু, কমলগঞ্জে উপজেলার ধলাই নদ-নদীতেও পানি বাড়ছে। বৃষ্টির কারণে মধ্য ও নিম্ন আয়ের মানুষেরা বিপাকে পড়েছেন। এছাড়া কমলগঞ্জ উপজেলার বোরো চাষিরা কাটা ধান নিয়ে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
নিম্ন আয়ের মানুষদের সাথে কথা বলে জানা যায়, বৃষ্টির কারণে বেশির ভাগ মানুষ কাজে বের হতে পারেননি। কাজে না যাওয়ার ফলে অনেকেই লুডু খেলে অলস সময় কাটাচ্ছেন। বৃষ্টির কারণে বিশেষ করে রিক্সা ও ভ্যান চালক, দিনমজুরেরা বেশি বিপাকে পড়েছেন বলে কথা বলে জানা যায়।
সরেজমিনে কয়েক উপজেলা ঘুরে কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা যায়, ভারী বৃষ্টির কারণে সাধারণ মানুষের জনজীবন বিপর্যস্ত অভাবের চাপ চোঁখে মুখে ভাসছে। খুব অল্প সংখ্যক মানুষ বাহিরে বের হয়েছেন। নিম্ন আয়ের মানুষেরা বিশেষ করে রিস্কা, ভ্যানচালকেরা বের হলেও সারাদিনে আয় করতে পারেননি গাড়ি ভাড়ার টাকাও। এছাড়া বৃষ্টির কারণে বাজারে মানুষ না আসার কারণে ছোট ছোট ব্যাবসায়ীরা অপেক্ষায় আছেন কখন বন্ধ হবে বৃষ্টি।উপজেলার মুন্সিবাজার বাজারের এক ষ্টুডিও ব্যবসায়ী শ্যামল পালের সাথে কথা বললে তিনি জানান, এমনি’তে আগের মত ব্যবসা নেই করোনা মহামারির মধ্যে চরম রকমের দখল গেল এর মধ্যে প্রতিনিয়ত বৃষ্টির মধ্যে চরম রকমের মানসিক ভাবে ক্লান্ত। ক্ষুদ্র সবজি ব্যবসায়ী ময়নুল ইসলাম বলেন, বৃষ্টির মাঝে অতি প্রয়োজন ছাড়া মানুষজন বাজারে আসেননা। কাঁচা মালগুলো আজ বিক্রি করার মত মানুষ ও নেই বাজারে,আর নক বিক্রি করতে পারলে পচে যাবে।
মুন্সিবাজার এলাকার রিস্কা চালক হারুন মিয়া বলেন, রিকশা নিয়ে বের হয়েছি ঠিক কিন্তু কোন যাত্রী নেই। প্রতিদিন রিস্কা ভাড়া ২০০ টাকা দিতে হয়। টাকা রুজি না করলে রিস্কা ভাড়া ও পরিবারের জন্য খাবার কিছুই নিতে পারবোনা।
উপজেলার পতনঊষার এলাকার দিনমজুর সমুজ মিয়া বলেন, গত কয়েকদিন ধরে বৃষ্টির কারণে ঠিক মতো কাজ করতে পারেনি। আজ কাজে যোগদান করেও কাজ করতে পারেনি বৃষ্টির জন্য। ঘরে চাল, ডাল, তেল কিছুই নেই। পকেটে টাকাও নেই। বউ বাচ্চার জন্য বাড়িতে কী নিয়ে যাবো জানিনা একমাত্র আল্লাহ ছাড়া দেখার কেউ নেই।
এদিকে শ্রীমঙ্গল উপজেলার কয়েক জন রিস্কা চালক,ব্যবসায়ীর সাথে কথা বলে হতাশার আর অন্ধকারে ধেয়ে আসছে জীবন যাপন এমটাই বিমর্ষ মুখে বলছিলেন সত্যি যেন গরীবের সন্তান হয়ে জন্ম নেওয়া পাপ, তারা বলেন আমি তো একা না ঘরে গেলে পরিবারের সদস্যরা বসে থাকে বাজার নিয়ে গেলে রান্না হবে ।এমন হতাশায় কথা বলে কান্না জর্জরিত কন্ঠে বলছিলেন বৃষ্টি ও যেন অভিশাপ ।