গাজীপুরের টঙ্গীতে খাওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে নিজ ভাইয়ের বন্ধুদের বিরুদ্ধে বুদ্ধি প্রতিবন্ধী এক কিশোরীকে (১৫) সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় পুলিশ অভিযুক্ত তিন জনকে গ্রেফতার করেছে। রবিবার সকাল সাড়ে ৯টায় টঙ্গীর আউচপাড়া থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ (জিএমপির) টঙ্গী পশ্চিম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ আলম গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
গ্রেফতারকৃতরা হলো– নরসিংদীর রায়পুর উপজেলার বাঁশগাড়ী গ্রামের হানিফ মিয়ার ছেলে রফিকুল ইসলাম ওরফে রফিক (১৯), চাঁদপুরের হাজিগঞ্জ উপজেলার বইসিক গ্রামের আবু বক্কর সিদ্দিকের ছেলে নাঈম শেখ (১৯) এবং শেরপুরের নকলা উপজেলার ধনাকুশা (নদীর পাড় টংগের বাসা) গ্রামের আব্দুল গনির ছেলে মনিরুল ইসলাম (১৮)। অভিযুক্তরা সবাই গাজীপুরের টঙ্গী পশ্চিম থানার কাঠালদিয়া কলাবাগান এলাকায় থাকে।
ওসি জানান, ঝালকাঠির কাঁঠালিয়া উপজেলার লেবুনিয়া গ্রামের এক ব্যক্তি বুদ্ধি প্রতিবন্ধী কিশোরী মেয়েসহ পরিবার নিয়ে টঙ্গীর মধ্য আউচপাড়ার সফি উদ্দিন রোড সংলগ্ন মাহবুবের বাসার ভাড়া থাকেন। আসামিরা শনিবার দুপুর সাড়ে ১২টায় ওই বাসার গেটে যায়। এ সময় কিশোরীকে তার ভাইয়ের বন্ধু রফিক টঙ্গী কলেজ গেটের একটি হোটেলে খাওয়ানোর কথা বলে একটি রিকশায় ওঠায়। পরে বড় দেওড়া এলাকার নান্দুর মণ্ডল রোডের জনৈক মোশারফের বাড়ির ভাড়াটিয়া কাউসারের বাসায় নিয়ে যায় তাকে। সেখানে রফিক ও তার দুই সহযোগী মনিরুল ও নাঈম কিশোরীর মুখ চেপে ধরে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। ধর্ষণের পর তারা একটি রিকশায় উঠিয়ে মেয়েটিকে বাসায় পাঠিয়ে দেয়। সে বাসায় এসে পরিবারের সদস্যদের কাছে ঘটনা জানালে তার বাবা বাদী হয়ে টঙ্গী পশ্চিম থানায় ওই তিন জনকে অভিযুক্ত করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা (নং ২৪) দায়ের করেন।